Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভিনয় জীবনের ৫০ বছরে চিত্রনায়ক আলমগীর

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

চিত্রনায়িক আলমগীর তার চলচ্চিত্রজীবনের ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন। ৫০ বছর আগে, ১৯৭২ সালের ২৪ জুন আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে তার। মাত্র ২২ বছর বয়সে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি ‘আমার জন্মভূমি’ মুক্তির আগেই সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া’র ‘দস্যুরানী’, আজিজুর রহমানের ‘অতিথি’, আলমগীর কুমকুমের ‘মমতা’ ও মোহর চাঁদের ‘হীরা’ সিনেমায় কাজ শুরু করেন। ১৯৭৩ সালের ২৪ অক্টোবর মুক্তি পায় ‘আমার জএবং ২৮ অক্টোবর মুক্তি পায় ‘দস্যুরানী’। এরপর থেকে আজ অবধি ২২৫টিরও বেশি সিনেমাতে তিনি অভিনয় করেছেন। তার প্রযোজিত প্রথম সিনেমা ‘ঝুমকা’। প্রথম পরিচালিত সিনেমা ‘নিষ্পাপ’। মোস্তফা মেহমুদের ‘মনিহার’ সিনেমায় তিনি গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ও সত্য সাহার সুরে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন। বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আজীবন সম্মাননা পদক পাবার রেকর্ড নায়ক আলমগীরেরই রয়েছে। ১৯৮৫ সালে কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ চলচ্চিত্রের জন্য প্রথশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ টানা ৪ বছর শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে নতুন এক রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি, যা আজও কেউ ভাঙতে পারেনি। তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘আজীবন সম্মাননা’প্রাপ্ত নায়ক। জীবনের সিংহভাগ সময় অভিনয়কে দেয়ার পরও নায়ক আলমগীর বলেন, ‘এখনো সুঅভিনেতা হতে পারিনি। কারণ শিল্পী হওয়া এত সহজ নয়। অভিনয়ে পূর্ণমান ১০০-তে নিজেকে পাস মার্কস দিতে রাজি, এর চেয়ে বেশি নয়। অভিনয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলমগীর বলেন, আমার মোবাইল ফোনের ওয়ালপেপারে সবসময়ই আমার প্রথম সিনেমা ‘আমার জন্মভূমি’র স্থিরচিত্র রেখে দেন। তিনি বলেন, ‘আমি সিনেমা খাই, সিনেমা পান করি, সিনেমাতে ঘুমাই, সিনেমাই আমার সব’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ