Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ধামরাইয়ে দুই নারীর লাশ উদ্ধার

ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

ভালবাসার বিয়ের তিন মাস পরই স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজেই মৃত্যর পথ বেছে নিল সাবরিনা আক্তার রুমানা নামের এক নারী। অপর দিকে স্বামীর সাথে অভিমান করে কবিতা আক্তার নামে আরেক গার্মেন্টস কর্মী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। দু’টি লাশই ধামরাই পৌর শহরের পৃথক মহল্লা থেকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ ঢাকার একটি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার কালিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম স্ত্রী ও এক মেয়ে সাবরিনা ইসলাম রোমানা (১৮) কে নিয়ে ধামরাই পৌরসভার তালতলা মহল্লার কবির হোসেনের বাসায় ভাড়া থাকে। ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার আশফদ্দী গ্রামের নবাব আলী খন্দকারের ছেলে রনিস খন্দকার (২৭) সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় রোমানার। পরে উভয় পক্ষের অভিভাবকরা গত তিন মাস পূর্বে রোমানা ও রনিস খন্দকারের বিয়ে দেয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে রোমানার কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক চায় রনিসসহ তার পরিবার। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় রোমানাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় রনিস। গত বৃহস্পতিবার রোমানাকে ফোন করে স্বামী রনিস বলে যৌতুকের টাকা না দিলে তাকে ডিভোস দিবে। পরে বিকেলে মানুষিক চাপ সইতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বাবার বাসায় আত্মহত্যা করে রোমানা। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

অপরদিকে পৌর শহরের ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকায় একটি ভাড়াবাসায় কবিতা আক্তার (২৫) নামের এক গার্মেন্টস কর্মী স্বামীর সাথে অভিমান করে রুমের ভেতর গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। কবিতা ধামরাইয়ের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক বলে জানা গেছে। লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় পৃথক দু’টি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ