বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আগামীকাল স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে। এই উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পূর্ণমূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল পরিদর্শনে এসে আইজিপি এ মন্তব্য করেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু জাতীয় ও আš—জাতিক পর্যায় আলোড়ন তুলেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি অর্জন হয়েছে, এটি বিশ্বকে জানান দিচ্ছে এই অর্জনের মাধ্যমে। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সারাদেশ ব্যাপী একটি উৎসবমুখোর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল আমরা প্রত্যাশা করছি এখানে কমপক্ষে ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে। তার বেশিও হতে পারে। এই অনুষ্ঠানটি সামগ্রী দেশবাসী ও আš—জাতিক পর্যায় গুর“ত্বপূর্ণ।
পুলিশের পক্ষ থেকে সব্বোর্চ নিরাপত্তা জোরদার করার কথা জানান আইজিপি বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলে দুটি সর্বাধিক প্রযুক্তির ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে। যা প্রথম বারের মত আমাদের দেশে ব্যবহার হচ্ছে। এই বড় ওয়াচ টাওয়ার দুটি অমেরিকা থেকে সম্প্রতি আনা হয়েছে। শারীরিক ভাবে এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পূর্ণমূল্যায়ন করছি এবং প্রতি মূহূর্তে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে। আশা করছি, দেশবাসীর সমর্থন নিয়ে আগামীকালের ঐতিহাসিক এই মুহূর্তকে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করতে পারবো।
বেনজীর আহমেদ বলেন, সেতু মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা কমিটি এখানে কাজ করছেন। আমরা সর্বশেষ নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখতে এসেছি। জনসভাস্থলে যাওয়া আসা পথ কেমন হবে গাড়ি পার্কিং কেমন হবে এসব বিষয় আমরা ট্রাফিক পরামর্শ দিয়েছি। এই নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ মানলে সবার জন্য জনসভাস্থলে আসা খুবই সুবিধা হবে। এ ছাড়াও রাস্তায় সাইন পোস্টিং দেওয়া আছে। যারা এখানে কখনো আসেনি তারাও খুব সহজে এই জনসভাস্থলে খুব সহজে প্রবেশ করতে পারবেন।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল পুলিশের কাছে কোন থ্রেট (হুমকি) নেই বলে জানা আইজিপি বেনজীর আহমেদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি কোন থ্রেট থাকে তা আমরা মিটিগেশন (হ্রাস করা) করবো। আমাদের সাথে সবার ক্রমাগত গোয়েন্দা সমš^য় আছে। এ ছাড়াও ঐতিহাসিক এই জনসভা ঘিরে প্রতিটি স্থানে আমাদের নিরাপত্তার জন্য আলাদা সিকিউরিটি ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, হাউওয়ে পুলিশ আলাদা ভাবে কাজ করছে। জনসভা শেষ হওয়া না পর্যš— আমরা এখানে থাকবো।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, জনসভাস্থলে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হবে। আমরা সম্প্রতি দেখতে পেয়েছি, সারা দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে যারা জনসভাস্থলে আসবেন করোনার যে নিরাপত্তা ও বিধিনিষেধ রয়েছে সেগুলো সবাইকে মেনে চলার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান পুলিশ প্রধান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) লিমন রায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবচর (সার্কেল) আনিসুর রহমান,শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মিরাজ হোসেনসহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।