Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চরভ্রাসনে নদী ভাঙ্গন তীব্রতর হচ্ছে, ঝুঁকিতে সাড়ে ৩শ পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২২, ৪:৪৯ পিএম

ফরিদপুর চরভদ্রাসন এলাকার নদী ভাঙ্গন তীব্রতর হচ্ছে। পদ্মা নদীতে ভাঙ্গন, ঝুঁকিতে আছে প্রায় সাড়ে ৩'শ পরিবার। পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের পাশাপাশি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি । ফলে নদীর রক্ষা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। পদ্মা নদী বেষ্টিত ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের জাকেরহুরার শিকদারের ডাঙ্গী এলাকায় এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে লোহারটেক কোলের সংযোগ বাঁধেও দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে অস্তিত্ব সংকটে পরার সম্ভাবনা রয়েছে সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়টিও।

সেই সঙ্গে ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকার প্রায় সাড়ে তিনশ’ পরিবার। এবং জাকেরহুরা একমাত্র ব্রীজটিও।


বৃহস্পতিবার (২৩জুন) চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির ত্রপা এ ভাঙনের বিষয়টি গনমমাধ্যম কে নিশ্চিত করেছেন।


তিনি বলেন, ভাঙ্গন এলাকায় কিছু বালুর বস্তা পানির স্রোতে ভেসে গেছে। তবে, সেখানে পুনরায় বালুর বস্তা ফেলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য তুনি এলাকাবাসী অনুরোধ করছেন।
জানা যায়, সোমবার (২০ জুন) দুপুর থেকে ওই স্থানে ভাঙ্গন দেখা যায়। এতে চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামের নদীর বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বালুভর্তি জিও ব্যাগের ডাম্পিংকৃত প্রায় ১০ মিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

স্থানীয় মুদি দেকানদার মোঃ জাহেদ সেখ ইনকিলাবকে জানান, পদ্মা নদী ও লোহারটেক কোলের সংযোগ স্থলে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। এরপরই বালুভর্তি ডাম্পিংকৃত জিওব্যাগ নদীতে তলিয়ে যেতে থাকে। বাঁধের কাজ শুরু হওয়াতে তাদের আশা ছিল আর হয়তো ভাঙ্গবে না। কিন্তু হঠাৎ ভাঙ্গন দেখা দেওয়ার পর চিন্তায় পড়ে গেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এ বিষয়ে চর হরিরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ খাঁন ইনকিলাবকে জানান, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এ এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রায় সাড়ে তিনশ’ পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভাঙ্গনরোধে কাজ চলছে। বালু ভর্তি জিও ব্যাগের ডাম্পিং করা হচ্ছে। প্রতিটি বালু ভর্তি জিও ব্যাগের ওজন প্রায় তিন মণ। তাও ফেলার সঙ্গে সঙ্গে নিচের দিকে দেবে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, ভাঙ্গনরোধে কাজ চলছে। সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে দুইশ’ মিটার স্থায়ী বাঁধের কাজটি পুরোপুরি সম্পন্ন করা যায়নি। এবছর পূর্ব সতর্কতামূলক প্রকল্প এলাকা ঢালু করে তার ওপর জিও ব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছে। ওই স্থানে ভাঙনের খবর পেয়েছি। পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে, ফরিদপুর সদর থানার ডিক্রির ইউনিয়নের সিএন্ডবি ঘাটের বীপরীত পাশ আইজউদ্দীন মাতুব্বর ডাঙ্গী এবং নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙী এলাকায়ও ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এই ভাঙ্গন আগামী ৭২ ঘন্টা স্হায়ী থাকলে বহু স্হাপনা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ