বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক হত্যা মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের পর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শৈলকুপার তমালতলা পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই সোহেল সাইফুল ইসলাম নামে এক আসামিকে গ্রেফতারের পর পিটিয়েছে বলে আসামির ছেলে সবুজ অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে দিগনগর ইউনিয়নের অচিন্তপুর গ্রাম থেকে হত্যার মামলার পলাতক আসামি সাইফুলকে গ্রেফতার করে তমালতলা পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই সোহেল। সবুজের ভাষ্যমতে মার বাঁচাতে সোহেল টাকা দাবি করেন তাদের কাছে। এএসআই সোহেল আসামির স্বজনদের শাসিয়ে বলেন, ভোর বেলা টাকা নিয়ে ক্যাম্পে না আসলে বুঝিয়ে দেবে দারোগা সোহেল কি জিনিস। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে এএসআই সোহেল তার পিতাকে মারধর করে শীতের মধ্যে খালি গায়ে বসিয়ে রাখেন। বুধবার দুপুরে আসামি সাইফুলকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ রাকিবুদ্দীন রণি আসামি সাইফুলকে হাসপাতালে আনার কথা স্বীকার করে জানান, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শৈলকুপার অচিন্তপুর গ্রামের মৃত উকিল শেখের ছেলে সাইফুলকে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে আসে। তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করছিলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর আবার নিয়ে যাওয়া হয়।
আসামির ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, এএসআই সোহেল ভোরে টাকা নিয়ে ক্যাম্পে দেখা করতে বলেন। তিনি ক্যাম্পে পৌঁছানোর আগেই তার ভাইকে মারপিট করে। আসামি সাইফুলের আরেক স্বজন অচিন্তপুর গ্রামের আজিজার লস্কার জানান, তমালতলা ক্যাম্প থেকে আসামি সাইফুলকে শৈলকুপা থানায় পাঠানোর গাড়ী ভাড়া বাবদ ৫শ’ টাকা দেয়া হয়। এরপর আসামিকে থানায় আনা হলে পরিবারের লোকজন দেখতে আসে। এ সময় এএসআই সোহেল থানায় এসে তাদেরকে বলেন, আমি কি ৫শ’ টাকার দারোগা? বিষয়টি নিয়ে তমালতলা ক্যাম্পের এএসআই সোহেল জানান, আসামিকে মারধর করা হয়নি। তাকে ধরে এনে শীতের মধ্যে বসিয়ে রাখা হয়েছিলো। আসামির পরিবারের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ২০১০ সালে অচিন্তপুর গ্রামে গ্রাম্য সংঘর্ষে রোজদার আলী নামে একজন নিহত হয়। সেই হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন সাইফুল। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে মারধর ও পরিবারের কাছে টাকা দাবির বিষয়টি জানা নেই বলে ওসি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।