Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে বন্যায় ডুবেছে ৭১০টি গবাধিপশু খামার, ভেসে মারা গেছে, ৩ হাজার ১৮৯টি গবাদিপশু

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২২, ৬:০৩ পিএম

চলমান বন্যায় প্রাণিসম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সিলেটে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুযায়ী, বন্যার পানিতে মারা গেছে সিলেট জেলায় হাঁস-মুরগিসহ তিন হাজারের বেশি গবাদিপশু। আর ডুবে গেছে গবাদিপশুর ৭১০টি খামার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পানি পুরোপুরি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলে চিত্র পাওয়া যাবেক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী, পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১৮৯টি গবাদিপশু মারা গেছে। জেলা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় সিলেট জেলায় ৭১০টি খামার ডুবে গেছে। পানিতে ভেসে গেছে ১ হাজার ৯৯১ টন খড় ও ২ হাজার ৯৫৯ টন ঘাস। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত জেলায় প্রাণিসম্পদের ক্ষতির পরিমাণ ১১ কোটি ৬৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। চলমান বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। তবে এ উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য নেই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে। অধিপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, পানিতে উপজেলা পরিষদ ভবন তলিয়ে যাওয়া, বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় এই উপজেলার তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ড. মো জাকির হোসেন বলেন, ‘এই ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও পুরো জেলায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। তলিয়ে গেছে গোচারণ ভূমি পানিতে। সহজেই এ সঙ্কট কাটবে না। গত শুক্রবার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বন্যা নিয়ে জরুরি সভায়ও গো-খাদ্যের ব্যবস্থা করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরাও মন্ত্রলায়ে চাহিদা পাঠিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র এখনো পাওয়া যায়নি। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় সুনামগঞ্জের সাথে আমরা কোনো যোগাযোগই করতে পারছি না। একই অবস্থা সিলেটের কোম্পানীগঞ্জেরও। পানি সম্পূর্ণ নেমে গেলে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যাবে।’

এই অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় সোমবার পর্যন্ত ২২টি গরু মারা গেছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১১টি, জৈন্তাপুরে ৪টি ও গোয়াইনঘাটে ৭টি। মহিষ মারা গেছে ৭টি। সবগুলোই গোয়াইনঘাটে। ছাগল মারা গেছে ২১টি। এরমধ্যে ২টি জৈন্তাপুরে ও ১৯টি গোয়াইনঘাটে। বন্যায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ১৩টি ভেড়া। এর মধ্যে কানাইঘাটে ৩টি, গোয়াইনঘাট ৮টি ও জৈন্তাপুরে ২টি। বন্যায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছে মুরগী। এ পর্যন্ত এর সংখ্যা ২ হাজার ৭১৫। হাঁস মারা গেছে মোট ৩৯১টি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো রুস্তম আলী বলেন, ‘আমরা আপাতত বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া গবাদিপশুকে চিকিৎসা দিচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ