বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার এর বিভিন্ন পাহাড়ে অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (২১ জুন) রাত ১০ টা থেকে এ অভিযান শুরু করেন জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে কয়েকটি টিম কাজ শুরু করেছেন। প্রথমদিনে শহরের বৈদ্যঘোনা থেকে প্রায় ২০ পরিবারকে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছেন জেলা প্রশাসন।
অভিযানের সময় জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, জীবন ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বসবাসকারীদের সকল ধরণের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে পাহাড়ের বসতি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবন ঝুঁকি নিয়ে যারা পাহাড়ে বসবাস করছেন তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যাপক
অভিযান শুরু হবে।
পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাদদেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের জীবন রক্ষায় সাইক্লোন শেল্টার অথবা আত্মীয়-স্বজনের বাসা বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক। অন্যথায় প্রশাসনের টিম গিয়ে ঘরগুলো সিলগালা করে দেবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিন আল পারভেজ বলেন, খানিকটা বিরতি দিয়ে গতরাত থেকে আবারও প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টিপাত আরও কয়েক দিন চলতে পারে। এই মুহুর্তে কক্সবাজার শহরসহ জেলার বিভিন্ন পাহাড়ে থাকা মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। যাদের অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তারা নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, এসব টিমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মচারি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। এসময় পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের পাহাড়ে রয়েছে লাখ লাখ মানুষের ঝুঁকিতে বসবাস। এসব মানুষের দখলে রয়েছে প্রায় ১৫-২০ হাজার হেক্টর পাহাড়। সাধারণ মানুষকে ঢাল বানিয়ে এসব পাহাড় দখলে রেখেছে ক্ষমতাসীন কিছু প্রভাবশালীরাও।
বর্ষা বলে কোন কথা নেই নানা কারণে সারা বছরই
কক্সবাজার অঞ্চলে পাহাড় কাটা হয়। বর্ষায় তা আরো বাড়ে। আর ওই কাটা পাহাড়ের মাটি গিয়ে ভরাট হয়ে যায় নদী খাল ছরা।
এ অঞ্চলে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সন্ত্রাসী ছারাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য পাহাড় দখল করে বসতি গড়ছে। শুধু তাই নয়, তারা বিক্রি করছে সরকারি পাহাড়ের দখলস্বত্বও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।