বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সোনালী ব্যাংকের তৎকালিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহমিলুর রহমানসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল মঙ্গলবার সংস্থার উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সোনালি ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ৩২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা হলেন, সোনালি ব্যাংকের সাবেক এমডি মুহাম্মদ তাহমিলুর রহমান, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আমানুল্লাহ,অবসরপ্রাপ্ত সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো: মিজানুর রহমান ও শফিকুর রহমান,উপ-সহব্যবস্থাপক মো: শাহ আলম,সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার মোশারফ আলী, মো: কামরুল ইসলাম ও আবু জাফর মো: সালেহ, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো: আলী আরশাদ ও মো: আবু মুসা, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো:আতিকুর রহমান, ওয়াহিদ উদ্দিন আহম্মদ ও এস এম এম আওলাদ হোসেন এবং সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো: আব্দুর রাজ্জাক, ঋণ গ্রহণকারী ‘মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেড’র চেয়ারম্যান মো: হারুন অর রশীদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আল মামুন,পরিচালক গোলাম রব্বানী চৌধুরী, নাসির উদ্দিন মিয়া, আবু হাসান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও রাজিব সিরাজ।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়,মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের নামে ২০০৪ সালে এলসির বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখা থেকে ঋণ নেয়া হয়। তবে দুদকের অনুসন্ধানে ঋণের বিপরীতে মর্টগেজ পাওয়া যায়নি। ঋণ হিসাবে ৩২ কোটি ৬৭ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের জন্য দায়ী সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকজন বর্তমানে অবসরে রয়েছেন। কয়েকজন আসামি বিদেশে পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য,আসামিদের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি গ্রেফতার হন। তখন থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে এক মামলায় আদালতের রায়ে ৭ বছর কারাদÐ হয়েছে মামুনের। চাঁদাবাজি,দুর্নীতি,অর্থপাচার,কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে মামুনের বিরুদ্ধে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।