বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিভিন্ন প্রকল্পের টাকাসহ ও পৌরসভার অর্থ তছরুপসহ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে পাবনার ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র খ ম কামরুজ্জামান মাজেদকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার দুপুরে স্থানীয় সরকার বিভাগ, পাবনার উপ পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবনার উপ পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমানের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। মোখলেছুর রহমান জানান, ২০১৯ সালের স্থানীয়রা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে দুদক অভিযোগগুলো স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি তদন্ত করতে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্তে বিভিন্ন রাস্তঘাট ও ব্রিজ নির্মাণসহ বেশ কিছু অভিযোগের দুর্নীতির বিষয়টি প্রমাণিত হয়। তদন্ত প্রতিবেদন গত ২৪ এপ্রিল আমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিলে গতকাল তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মেয়র খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। আমার কাজকর্ম সবকিছু দৃশ্যমান। ৪০ বছরের রাজনীতিতে তিনবার মেয়র হয়েছি। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে আমি দুর্নীতি করেছি। আমার দলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার মনোনয়ন আটকানোর জন্য নির্বাচনের আগে কিছু অভিযোগ দিয়েছে। সেই অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা না পেলেও আমাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মাজেদ বলেন, আমি প্রতিপক্ষের প্রতিহিংসার শিকার। উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে পাবনার ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মেয়র খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ তৃতীয়বারের মতো বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। এর আগে বিএনপির দুর্গখ্যাত এই পৌরসভায় ২০১১ ও ২০১৫ সালে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন মাজেদ। তিনি ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।