প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
চলচ্চিত্র তারকা দম্পতি ওমর সানী-মৌসুমীর সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে! চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে নিয়ে তাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে এমনটাই স্পষ্ট হয়েছে। আর তাদের সেই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ও সাংসারিক টানাপড়েন নিয়ে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
জায়েদ খানের বিরুদ্ধে রোববার (১২ জুন) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে স্ত্রী মৌসুমীকে বিরক্ত করার অভিযোগ আনেন ওমর সানী। কিন্তু মৌসুমী এক অডিও বার্তায় বলেন, জায়েদ তাকে কখনো অসম্মান করেনি, একইসঙ্গে তাকে অনেক ভালো বলেও প্রশংসা করেন এই অভিনেত্রী। ওমর সানী কেন এমন অভিযোগ করছেন সেটা তিনি বুঝতে পারছেন না। অডিও বার্তার এক পর্যায়ে সানীকে ভাই সম্বধন করেন মৌসুমী।
এদিকে মৌসুমীর অডিও বার্তার জবাবে এ নিয়ে লাইভে এসে কথা বলেন ওমর সানী। তিনি বলেন, ‘আমি জায়েদ খান সম্পর্কে যে কথাগুলো বলেছি সেখানে অটল আছি। জায়েদ খান সম্পর্কে পুরো ইন্ডাস্ট্রি যা জানে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনারাও ভালো করে জানেন। ইন্ডাস্ট্রি, ইন্ডাস্ট্রির মানুষগুলো এটার উত্তর দেবে। আমি মৌসুমীকে বাজে কোনো কথা বলব না। সে আমার স্ত্রী। সে একজন গর্জিয়াস নারী। কোনো কারণেই তাকে আমি ব্লেইম দেবো না। সে কী ভেবে কী কারণে কথাগুলো (অডিওবার্তা) বলেছে এটা একমাত্র সে আর আল্লাহ জানে।’
স্বামী-স্ত্রীর এমন পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে সরগম ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রি। তাদের মধ্যে দূরত্বের বিষয়টি সহজেই অনুমেয়। ওমর সানী অবশ্য মৌসুমীর সঙ্গে দূরত্বের কথা স্বীকারই করে নিয়েছেন।
এদিকে ভাই ডাকা প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তোলপাড়। শুধু তা-ই নয়, এই একটি শব্দ মৌসুমী ও ওমর সানীর সম্পর্কের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে। ভাই ডাকা প্রসঙ্গে ওমর সানী বলেন, ‘মৌসুমী তার স্বামীকে কেন ভাই ডাকছে, সে ভালো বলতে পারবে; আমি জানি না। আমি তাকে অসম্মান করে কিছু বলতে চাই না। তার প্রতি সম্মান রেখেই কথা বলতে চাই।’
ফেসবুকে এনিয়ে জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘নুপুর শর্মা, পদ্মা সেতুর আলোচনা ছাপিয়ে স্যোশাল মিডিয়ার প্রধান আলোচ্য বিষয় সানী মৌসুমীর ভাই না স্বামী?’’
রেজওয়ান কিবরিয়া নামে একজন পাঠক লিখেছেন, ‘‘তারা একে অপরকে ভালোবেসে বিবাহ করেছে। তাহলে প্রথমত ওমর-সানি মৌসুমির ভালবাসার মানুষ। ২য়ত মৌসুমির হাসবেন্ড। যে নারী তার ভালোবাসার মানুষকে ছোট করে অন্য পুরুষ এর জন্য এবং একই সাথে যে স্ত্রী স্বামীকে ছোট করে অন্য পুরুষকে বড় করেছেন সে আর যাইহোক মানুষ হতে পারে না। এখানে ভালোবাসার মানুষ এবং স্বামী একইসাথে-এটা বিশাল ব্যাপার ভালোবাসার কমিটমেন্ট থেকে।
তার ওডিও বার্তায় সানিকে ভাই বলা এবং অন্য পুরুষ এর সার্টিফিকেট দেওয়া এটা আসলেই, একজন ভালবাসার মানুষ এবং স্ত্রীর নিকট হইতে চরম নৈতিকতার অবক্ষয়।’’
মৌসুম মনজুর লিখেছেন, ‘‘স্বামী অথবা স্ত্রী যখন শত্রুর পক্ষে সাফাই গায় তখন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে সে দাম্পত্য জীবন। চূড়ান্ত পরিণতির অপেক্ষা মাত্র। এর চেয়ে বেদনাবহ আর কিছুই নেই। ওমর সানির আর মুখ খোলা উচিত নয়।তার জন্য সমবেদনা। সময়ই বলে দেবে এ দম্পতির ভবিতব্য। উপরওয়ালা রক্ষা করুক তাদের এই সংসার।’’
সানী-মৌসুমী দম্পত্তিকে আবারও একত্রে দেখার আশা প্রকাশ করে এক পাঠক লিখেছেন, ‘‘ওমর সানি মৌসুমী আপু আপনাদের ভালোবাসা মৃত্যু পর্যন্ত অটুট থাকুক এই দোয়া করি। আপনারা ভুল বোঝাবুঝি বাদ দিয়ে আপন সংসারে ফিরে আসেন। দেশের ভক্তদের মুখে হাসি ফোটান। সিনেমার শেষ দৃশ্য নায়ক-নায়িকার মিল এতেই দর্শকদের আনন্দ। আমরা বিরহ দেখতে চাইনা।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।