বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট ও সুনামগঞ্জে গত বুধবার থেকে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের পাশে পাচ্ছেন না ২ জেলার কয়েকটি সংসদীয় এলাকার মানুষ। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে ক্ষোভও প্রকাশ করছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রথম থেকেই নিজ এলাকায় এসে সবার খোঁজখবর রেখে ও প্রত্যক্ষভাবে ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে প্রশংসিতও হচ্ছেন কোনো কোনো জনপ্রতিনিধি।
কাছাকাছি সময়ে সিলেটে দ্বিতীয় দফার বন্যায় বিপর্যস্ত অবস্থা তৈরি হলেও এখন পর্যন্ত এলাকায় আসেননি সিলেট- ১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার এবং সিলেট-৬ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ। এদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সপ্তম বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে যোগ দিতে গত শনিবার ভারতে সফরে গিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি দেওয়ান মো. শাহরিয়ার ফিরোজ গণমাধ্যমকে বলেন, মন্ত্রী আজ (সোমবার) দেশে ফিরছেন এবং আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সিলেট সফরে যেতে পারেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সংসদ সদস্য হাফিজ আহমেদ মজুমদার ও নুরুল ইসলাম নাহিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউ কল ধরেননি। সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে গণমাধ্যমে। অন্যদিকে সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তও এলাকায় আসেননি। তবে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এলাকায় আসতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেও নিজ এলাকায় থেকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এছাড়াও নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় আছেন সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম রতন, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এবং সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক।
যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া যেসব মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা এখন পর্যন্ত দুর্গত এলাকায় পা রাখেননি তাদের সমালোচনা করেছেন সিলেটের বিশিষ্টজনরা। সিলেট সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, তারা জনসেবা বাদ দিয়ে আত্মসেবায় নিয়োজিত আছেন। তারা ভুলে গেছেন যে তারা জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আশা করেছিলাম এই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় জনপ্রতিনিধিরা তাদের নিজেদের বেতন ও ব্যক্তিগত খাতে বরাদ্দের টাকা বন্যার্তদের সহযোগিতায় দান করবেন। কিন্তু কেউই তা করেননি। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রী ও এমপিরা দুর্গতদের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।