Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খুলনা শিপইয়ার্ডে মোংলা বন্দরের জন্য ‘সার্চ এন্ড রেসকিউ ভোসেল’ নির্মাণ কাজের সূচনা হচ্ছে মঙ্গলবার

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০২২, ৬:৪৮ পিএম | আপডেট : ৭:২২ পিএম, ২০ জুন, ২০২২

মোংলা বন্দরের জন্য মঙ্গলবার একটি ‘সার্চ এন্ড রেসকিউ ভোসেল’ নির্মাণ কাজের সূচনা হচ্ছে খুলনা শিপইয়ার্ড। প্রায় ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ এ বিশেষায়িত নৌযানটির নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহম্মদ মুসা ওএসপি, এনপিপি,আরসিভিএস,এএফডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি-বিএন।


খুলনা শিপইয়ার্ডের সকবুজ চত্তরে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এম শামসুল আজিজ-এনজিপি, পিএসসি-বিএন,এর সভাপতিত্বে এ ‘কিল লেয়িং’ অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির জিএমবৃন্দ ছাড়াও ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগন উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মাননির্ণয় প্রতিষ্ঠান ‘আইএসও’র সনদপ্রাপ্ত খুলনা শিপইয়ার্ড ইতোপূর্বে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ছোট ও বড় মাপের একাধিক যুদ্ধ জাহাজ ছাড়াও সমর নৌযান তৈরি করেছে।

মোংলা বন্দরের জন্য নির্মিতব্য সার্চ এন্ড রেসকিউ ভেসেলটিতে বিশে^র অত্যাধুনিক মেশিনারী সহ সরঞ্জাম সংযোজিত হবে। প্রায় ৯১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২২ ফুট প্রস্থ এ নৌযানটি জার্মানীর ‘জিএমবিএইচ’এর নকশায় তৈরি হতে যাচ্ছে। নৌযানটির সাহায্যে বন্দরের সার্চ এন্ড রেসকিউ মিশন সহ মেরিটাইম সার্ভিলেন্স দক্ষতার সাথে সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে। যা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ সমুদ্র বন্দরের দক্ষতা ও কর্ম পরিধিকে যথেষ্ট সমৃদ্ধ করবে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৌ জরিপ প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের ‘ব্যুরো ভেরিটাস’এর নীতিমালা অনুসরণ করে নির্মিতব্য এ নৌযানটি মোংলা বন্দরকে একটি আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দরে পরিণত করতেও অগ্রণী ভ’মিকা রাখবে বলে মনে করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।

নৌযানটিতে আমেরিকার ‘এমটিইউ’ ব্রান্ডের ১,৬৩০ কিলোওয়াট ক্ষমতার দুটি মূল ইঞ্জিন ছাড়াও দুটি জেনারেটর থাকবে। এছাড়া নৌযানটিতে ১টি করে ডেক ক্রেন ও রেসকিউ বোট সহ সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট,ওয়েলি ওয়াটার সেপারেটর ছাড়াও নেভিগেশন কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট, মাল্টিবিম সোনার, ডিজিপিএস, নেভিগেশন রাডার এবং সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ভিএইচএফ সেট ছাড়াও ইকো সাউন্ডার সংযোজন করা হবে।

খুলনা শিপইয়ার্ড ইতোমধ্যে প্রায় ৮শ বিভিন্ন ধরনের সমর ও বাণিজ্যিক নৌযান নির্মাণ ছাড়াও প্রায় আড়াই হাজার নৌযানের মেরামত ও পুনর্বাসন সাফল্যজনক ভাবে সম্পন্ন করে উপমহাদেশের নৌ নির্মাণ শিল্পে গৌরবজনক অবস্থান নিশ্চিত করেছে।

রুগ্ন ও বিক্রি তালিকাভ’ক্ত খুলনা শিপইয়ার্ডকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর নৌ বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেন। ইতোমধ্যে সামরিক বাহিনীর এ প্রতিষ্ঠানটি তার হ্রত গৌরব পুনরুদ্ধার করে দেশের উন্নয়নের এক অনন্য অংশীদার হয়ে উঠেছে। করোনা মহামারীর বিগত দুটি অর্থ বছরের সংকটকালীন সময়েও প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা আয়কর ও ভ্যাট প্রদানের পরেও ১২৫ কোটি টাকা নীট মুনফা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এমনকি খুলনা শিপইয়ার্ডের ঘুরে দাঁড়ান দেখে একইভাবে রুগ্ন ও লোকসানি ‘নারায়নগঞ্জ ডকইয়ার্ড’ ও ‘চট্টগ্রাম ড্রাইডক’ নৌ বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সবগুলো প্রতিষ্ঠানই ইতোমধ্যে লোকশান ও অব্যবস্থাপনাকে পেছনে ফেলে দেশের অগ্রযাত্রায় অন্যতম অংশীদার হয়ে উঠেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ