বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লার খরস্রোতা গোমতী নদীতে পানি বাড়ছে। অব্যাহত বর্ষণে নদীতে বৃদ্ধি পাওয়া এ পানি বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান। তবে পানি বেড়ে যাওয়ায় উৎকন্ঠার মাঝে রয়েছেন নদীর চরাঞ্চলের কৃষকরা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় চর ডুবে যাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিচু এলাকার বাড়িঘরে প্রবেশ করছে পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, সোমবার দুপুরে গোমতী নদীর টিক্কারচর পয়েন্টে ৯ দশমিক ৯ মিটার উচ্চতায় গোমতীর পানি প্রবাহমান। এখানে বিপদসীমা ১০ দশমিক ৭৫ মিটার পর্যন্ত। যা বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।তবে আজ (সোমবার) সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত পানি প্রবাহ প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে সোমবার গোমতী নদীর আলেখারচর, আমতলী, বালি খাড়া, কামার খাড়া, টিক্কারচর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পানি বেড়েছে। অধিকাংশ স্থানে নদীর চর পর্যন্ত ডুবে গেছে। চর ভূমিতে চাষাবাদ করা নানান শাক সবজি ও অন্যান্য ফসল এখন পানির নিচে। দিন দুয়েক বৃষ্টিপাত ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এসব ফসল আর রক্ষা করা যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন চরের কৃষকরা। এসব কৃষকরা নদীর চরে চাষাবাদ করেই মূলত জীবিকা নির্বাহ করেন। গোমতীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এরিমধ্যে অনেক কৃষকের লাউ, ঢেড়শ, ঝিঙ্গা, মূলা, লালশাক, পানিতে ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা নদীর চরের কাছে দাঁড়িয়ে হা-হুতাশ করছেন। কেবল চরের ফসল নয়, চর এলাকায় বসবাস করা অনেকের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় মালামাল সরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লোকজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।