পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে যখন নানা রকম অর্থনৈতিক সঙ্কটের গুঞ্জন, তখনই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিল সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দেশের ইতিহাসে সফল অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদারকে। আগামী ৩ জুলাই বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এ দায়িত্বে আসছেন আব্দুর রউফ। অপরদিকে দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী অর্থসচিব হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ফাতিমা ইয়াসমিনকে। তিনি দেশের প্রথম নারী অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিবও ছিলেন। দু’জনই নতুন অর্থবছরে দায়িত্ব নিবেন। এই বছরটিকে সকলেই চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন। তাই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর ও নতুন অর্থ সচিবের নিয়োগকে নতুন ‘প্রত্যাশার হাতছানি’ হিসেবে অবিহিত করেছেন দেশের আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা। তাদের মতেÑ সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ দুই আমলা দেশের আর্থিক খাতে আশার আলো জ্বালাতে পারবেন। অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় আর্থিক খাতের যখন নাজুক অবস্থা, তখন এই দুই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগে চমক দেখিয়েছে সরকার। আর্থিক খাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিভাগের দায়িত্বের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ ও সফল দু’জনকেই বাছাই করা হয়েছে। তারা বলছেন, করোনা মহামারি ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কারণে বিশ্বমন্দা দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়েছে। এরমধ্যে দেশে আবার বন্যার দেখা দিয়েছে। যে কারণেও দেশের অর্থনীতি আরও বিপর্যস্ত। এই মন্দা থেকে উত্তরণ করে দেশের অর্থনীতিতে ভালো সময় নিয়ে আসবেন এই আশাবাদ অর্থনীতিবিদদের।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আবু আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, সৎ, অভিজ্ঞ ও জ্ঞানী দু’জন ব্যক্তিকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য আশাব্যঞ্জক। দু’জনেই অর্থনীতি ও ব্যবসা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখে। তিনি বলেন, খেলাপী ঋণ ও জবাবদিহিতার অভাবে ব্যাংকিং খাত ডুবতে বসেছে। ব্যাংক থেকে বড় ঋণ নিলে মনে করা হয় এটা দিতে হবে না, একটা ধারণা হয়ে গেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ঋণ খেলাপী হওয়াই এখন ব্যাংকিং খাতের স্বাভাবিকতা। এটা থেকে ব্যাংকিং সেক্টরকে উদ্ধার করতে হবে। এক্ষেত্রে গভর্নরকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। ডান-বামে কি আছে, কে আছে দেখলে হবে না। গভর্নর পদটি স্বাধীন। তার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দেয়া আছে। নতুন গভর্নর ও অর্থসচিব তাদের সততা, দক্ষতা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আর্থিক খাতকে সঠিকভাবে পরিচালনা করবেন।
নতুন গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আবদুর রউফ তালুকদার করোনার সময় দেশের অর্থনীতির ক্রান্তিকালে অর্থনীতি চাঙায় বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় তার পরামর্শ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রশংসনীয় হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্কার প্রক্রিয়ায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে বাজেট সংস্কার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, অবসরভোগী সরকারি চাকরিজীবীদের ইএফটির মাধ্যমে পেনশন প্রদান এবং সঞ্চয়পত্রের অটোমেশনে তার ভূমিকাও ছিল অনেক। অর্থ সচিবের দায়িত্ব পালনকালেই ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ (বিবিএসের নতুন হিসাবে, পুরোনো হিসাবে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (জিডিপি প্রবৃদ্ধি) অর্জিত হয়; যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি। ২ বছরের বেশি সময়ের করোনা মহামারির সঙ্কট মোকাবিলাতেও অর্থসচিব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা সামলে অর্থনীতিকে সঠিক পথে আনতেও রউফ তালুকদার বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ আবদুর রউফ তালুকদার ২০২১ সালে ‘ন্যাশনাল ইন্টিগ্রিটি অ্যাওয়ার্ড’ পান। এছাড়া পদাধিকার বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সদস্যও ছিলেন তিনি। তাই এই পদের সঠিক প্রতিফলনও পাবে দেশ। এরই মধ্যে নতুন গভর্নর হিসেবে আব্দুর রউফ তালুকদারকে নিয়োগ দেয়ায় পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে শুরু করে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। তারা আশাবাদী পুঁজিবাজারে আবার স্বাভাবিকতা ফিরবে। চাঙা হবে পুঁজিবাজার।
সূত্রমতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার পর ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান দিল্লিতে সেমিনারে চলে যান। কিন্তু ৪০ দিন পর ফিলিপাইনের একটি দৈনিক পত্রিকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হওয়ার খবর প্রকাশ পায়। এর জেরে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর ফজলে কবিরকে গভর্নর নিয়োগ করা হয়। ছয় বছরের বেশি সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছেন। এই সময়ে রিজার্ভ চুরির অর্থ ফিরিয়ে আনা দূরের কথা ব্যাংকিং খাতে সুশাসন-জবাবদিহিতা ফেরাতেও কোনো ধরনের কার্যক্রম চোখে পড়েনি। বরং ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিনের স্বেচ্ছাচারিতা, গুরুতর অনিয়ম ও বিচ্যুতিকে যেভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে, তা ব্যাংকিং খাতের সঙ্কটকে ঘনীভূত করেছে। আর তাই ঋণ জালিয়াতি, অর্থ পাচার ও নানা অনিয়মে জর্জরিত দেশের ব্যাংকিং খাতের দৈন্য দশা চলছে। ফজলে কবিরের সময়ে আর্থিকখাতের উন্নতি না হলেও এই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে যেন চালু হয়েছে সচিবালয় প্রথা। ফাইল স্বাক্ষরের আগেই সংশ্লিষ্টদের কাছে ফোন করে বলা হয় অগ্রগতি ও উৎকোচের কথা। গভর্নর সচিবালয়ে একটি সিন্ডিকেট সচিবালয় প্রথা চালু করেছে। এমনকি গভর্নরের অফিস সময় শুরু হয় দুপুর ২টায়। আর রাত ৯-১০টা পর্যন্তও তিনি অফিস করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সকালে কোনো ফাইল স্বাক্ষরের প্রয়োজন হলেও অপেক্ষা করতে হয় গভর্নর কখন অফিসে আসবেন তার ওপরে। আর তাই অনেক জরুরি ফাইলও আটকে যায়। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের অনেককেই রাত ৯টা পর্যন্ত ব্যাংকে থাকতে হয়। সাধারণত সরকারি কর্মকর্তাদের অফিস কার্যক্রমের সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। গভর্নরের নিজস্ব অফিস সময়ের কারণে কর্মকর্তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে এক ধরনের অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সূত্রমতে, করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আইনের শাসন এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করায় দীর্ঘদিনের অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা কাটিয়ে শেয়ারাবাজারের প্রতি ক্রমান্বয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ফিরছিল। বিনিয়োগ গতিও বাড়ে। করোনার অভিঘাত কাটিয়ে অর্থনীতিকে চাঙা করতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে পুঁজিবাজার। এই ধারাবাহিকতায় বিদেশি বিনিয়োগ যখন দরজায় কড়া নাড়ছে, দীর্ঘদিন পর শেয়ারবাজার নিয়ে যথন সবাই খুশি। তখনই দৃশ্যমান সাফল্যকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং সরকারকে বিব্রত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ পুঁজিবাজারকে আবারও আগের মতো বিপর্যস্ত করে। কিছু পলিসিগত বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অযাচিত হস্তক্ষেপে ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মতবিরোধে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পুঁজিবাজারের প্রবৃদ্ধিকে থমকে দেয়। যদিও প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার একাধিকবার এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসলেও অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি। এমনকি দেশের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি শেয়ারবাজারকে বাঁচাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন। ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজার বিনিয়োগ নিয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপও করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পোর্টফোলিওর শেয়ারের দর বেড়ে বিনিয়োগের নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করলে জরিমানা গুনতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। এছাড়াও পুঁজিবাজার বিশেষ তহবিলের অর্থ অন্য শেয়ারে বিনিয়োগ এবং অদাবিকৃত লভ্যাংশের অর্থ পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে স্থানান্তর করা নিয়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিএসইসি’র মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এদিকে বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরের সময়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তদারকির দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাজে ক্ষোভ জানিয়েছেন উচ্চ আদালতও।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। এর অন্যতম কারণ হতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি’র মতপার্থক্য। সামগ্রিকভাবে বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। আশা করছি, নতুন গভর্নর ও অর্থ সচিবে সে রকম পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে।
এদিকে সফলতার সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আরেকটি বিভাগ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন ফাতিমা ইয়াসমিন। আগামী ১১ জুলাই থেকে তিনি দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী অর্থ সচিবের নতুন এই দায়িত্ব পালন করবেন। ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ইআরডি-সচিব হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ইআরডিরও প্রথম নারী সচিব ছিলেন ফাতিমা ইয়াসমিন। এর আগে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ফাইন্যান্সের (আইপিএফ) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নতুন অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের কর্মকাণ্ডের ওপর বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ অবস্থা অনেকখানি নির্ভর করে। তিনি এক সময় দায়িত্ব নিলেন যখন বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে, বড় বড় প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন শেষপর্যায়ে, ঋণের চাপ বাড়ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং সরকারের ওপর অর্থনৈতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে। অর্থনীতিবিদরা সঙ্কটের কারণে নানা রকম ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন, সরকার নিজেও কৃচ্ছ্রতা সাধনের নীতি গ্রহণ করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি স্বীকার করা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনা-পরবর্তী সময়ের কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্থিরতা রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে অর্থনীতিতে একটি অস্বস্তি দৃশ্যমান হচ্ছে। ঠিক এরকম সময়ে ফাতিমা ইয়াসমিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিচ্ছেন। নতুন বছরের শুরুতেই তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং এ বছরটিকে সকলেই চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন। বিশেষ করে শ্রীলংকা, নাইজেরিয়া এবং পাকিস্তানের ঘটনার পর শঙ্কার কালোমেঘের বাংলাদেশের আকাশেও দানা বাঁধতে শুরু করেছে বলে অনেকে মনে করেন। আর তাই সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন, নতুন অর্থ সচিবের হাতে অনেক কিছু নির্ভর করছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন যে, প্রধানমন্ত্রী পুরো বিষয়গুলো সরাসরি যেহেতু দেখভাল করেন এবং ফাতিমা ইয়াসমিন যেহেতু একজন সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তা, তিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেছেন, নতুন গভর্নর ও অর্থ সচিবে আমরা খুবই খুশি। ওনাদের সঙ্গে বিএসইসি’র বোঝাপড়াও খুব ভালো। আর্থিক খাত পরিচালনায় ওনাদের জ্ঞান ও দক্ষতা পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। চাঙা হবে পুঁজিবাজার। তিনি বলেন, দেশের আর্থিক খাতের প্রধান দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মধ্যে সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। দুই সংস্থা ঘনিষ্ঠ ও নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় অবদান রাখা সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।