পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কৃমি রোগ আমরা প্রায় নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছি। ৮০ শতাংশ থেকে কৃমি রোগে আক্রান্তের হার এখন ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। গতকাল আন্তর্জাতিক এসটিএইচ সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন। রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে দুদিন ব্যাপী এই সামিটের আয়োজন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা সচিব মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. ইকবাল আর্সলান। সামিটে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) প্রফেসর ডা. নাজমুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আকতারুজ্জামান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে আগে কৃমি রোগে আক্রান্ত রোগী অনেক ছিলো। ছয় থেকে ১২ বছর বয়সী প্রায় দুই কোটি শিশুকে বছরের দুই বার কৃমি নাশক খাওয়ানো হয়। আগে পরীক্ষা করলে ৮০ শতাংশ কৃমি রোগে আক্রান্ত পাওয়া যেতে। এখন আক্রান্ত হার ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এর জন্য মাল্টি সেক্টর কাজ করেছে। যে কারণে আমরা সফল হতে পেরেছি। কৃমি রোগ আমরা প্রায় নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছি।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সেশনে বক্তব্য দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এনটিডি’র কর্মকর্তা ডা. অ্যান্টোনিও মনটেসর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার-সিডিএস, বাংলাদেশ’র মেডিক্যাল অফিসার ডা. অনুপমা হাজারিকা। তৃতীয় সেশনে ছিলেন কো চেয়ার ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। বক্তা হিসেবে ছিলেন- ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কর্মসূচির কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান ও চিলড্রেন উইদাউট ওয়ার্মস (সিডাব্লিউডাব্লিউ) ইউএসএ’র ডিরেক্টর ডা. পল ইমারসন।
এদিকে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের ১১ জেলায় বানভাসীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ২শ মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আমাদের চার হাজার মেডিকেল প্রস্তুত রয়েছে। তবে ভাসমান চিকিৎসা কেন্দ্র করার মতো আমাদের কোনো উপকরণ নেই। জাহিদ মালেক বলেন, দেশে প্রতিবছর বন্যা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব কোনো হেলিকপ্টার, পানিতে চলার অ্যাম্বুলেন্সসহ কোনো পরিবহন ব্যবস্থা নেই। আমরা সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরব। তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলের সব পর্যায়ের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রতিকূল পরিবেশ থাকলেও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন, ওষুধ ও সাধ্য অনুযায়ী খাদ্য পাঠানো হচ্ছে।
জাহিদ মালেক বলেন, সিলেটসহ কয়েকটি জেলা ব্যাপক বন্যার কবলে পড়েছে। কিছু কম আর কিছু বেশি। বিশেষ করে সিলেট ও সুনামগঞ্জের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এজন্য ঢাকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবেও করা হয়েছে। আমাদের ডাক্তার নার্সসহ অন্যরাও সেবা দিচ্ছে। টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে কাজগুলো করা হচ্ছে। মন্ত্রী আরও বলেন, স্থানীয় হাসপাতালে বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে রোগী ভর্তি আছে। কিন্তু পানি উঠে যাওয়ায় তাদের অন্য স্থানে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।