Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জামিনে বেরিয়ে মামলা তুলে নিতে অপহরণ ও হত্যার হুমকি

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জামিনে বেরিয়ে এসে আসামিসহ আসামি পক্ষের লোকজন মামলা তুলে নিতে বাদীসহ পরিবারের সদস্যদের অপহরণের পর হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার আমলাবো এলাকায় এ হত্যার হুমকি দেয়া হয়। হুমকির পর থেকে বাদীসহ পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মামলার বাদি আব্দুল মান্নান জানান, রূপগঞ্জে আমলাবো এলাকায় তার বাবার ৭৪ শতাংশ জমি রয়েছে। ওই জমিটি দীর্ঘ দিন ধরে সে ভোগদখল করে আসছেন। গত ১৪ নভেম্বর ওই জমিতে আব্দুল মান্নান বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় ভূমিদস্যু ছায়েদ আলী ও তার বাহিনীর সদস্যরা বাধা দেয়। এসময় তারা ভুয়া দলিল দেখিয়ে বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। মান্নান চাঁদা দিতে রাজী না হলে ভূমিদস্যু সায়েদ আলী বাহিনীর সদস্য শওকত আলী, ইয়াকুব আলী, মিজান, আরিফুল ইসলাম, বিমল বৈরাগী, মনির হোসেন, রেজাউল করিম হান্নান ফকির, জাকির ওরফে টাকলু জাকির, মোবারকসহ মান্নানকে লাঠিপেটা করে গুরুতর আহত করে। এলাকাবাসী মান্নানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মান্নান বাদী হয়ে ছায়েদ আলী ও তার সহযোগী মিজানসহ ৮ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মান্নান জানায়, মামলায় জামিনে বের হয়ে এসেই আসামি ছায়েদ আলী, মিজানসহ আসামি পক্ষের লোকজন মামলা তুলে নিতে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়। এসময় ছায়েদ আলী বাহিনীর লোকজনকে নিয়ে জমির আশপাশ এলাকায় দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহড়া দেয়। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ছায়েদ আলীর বিরুদ্ধে জাল দলিল ও জমি জবরদখলের বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। জামিনে বেড়িয়ে এসে যদি বাদীকে হত্যার হুমকি দেয় তাহলে আবার তাকে আটক করা হবে। এ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ