রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চলনবিল অঞ্চলে গ্রামীণ ঐতিহ্য ‘বাউৎ উৎসবে’ মাছ শিকারের ধুম পড়েছে। শীতের শুরুতে চলনবিলের পানি কমে যাওয়ার পর মাছ ধরার ধুম পড়ে এ অঞ্চলে। হাজার হাজার মানুষ বিলে নেমে পলো দিয়ে একসাথে মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠেন চলনবিলের মানুষ। আর এ উৎসবকে বলা হয় ‘বাউত উৎসব’। এখন সেই উৎসব চলছে পাবনার চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার ডিকশির বিল, রহুল বিল, খলিশাগাড়ি সহ অন্যান্য বিলে। সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর অবধি চলে এ মাছ ধরার উৎসব। সম্প্রতি এক ভোরে ভাঙ্গুড়া উপজেলার রহুল বিলে গিয়ে দেখা যায়, পলো বাউত উৎসবে মাছ শিকারের চিত্র। কাক ডাকা ভোর থেকে দূর-দূরান্ত থেকে কেউ নছিমন, করিমন, অটোভ্যান, বাই সাইকেলে আবার কেউবা পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন বিলের উদ্দেশ্যে। কারো হাতে পলো, কারো হাতে ঠেলা জাল, বাদাই জাল, লাঠি জালসহ মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম। বিলপাড়ে জড়ো হওয়ার পর একসাথে বিলে নেমে মাছ ধরার আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেন শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ। প্রতি বছরের এই সময়টার আশায় থাকেন সবাই। উৎসবে ধরা পড়ে শোল, বোয়াল, রুই, কাতল, গজার, চিতলসহ নানা প্রজাতির দেশি মাছ। অনেকে বলেন, কালের বিবর্তনে চলনবিল ছোট হয়ে আসায় পলো দিয়ে মাছ ধরার এই উৎসবে মাছও মেলে না আগের মতো। তাই খাল-বিল-জলাশয়ে মাছে অভয়ারণ্য গড়ে তোলার দাবি জানান তারা। খাল-বিল হুমকির মুখে পড়ায় দিন দিন ফিকে হয়ে আসছে নদীমাতৃক গ্রামবাংলার এই বাউৎ উৎসব। নতুন প্রজন্মের কাছে এই ঐতিহ্য তুলে ধরার দাবি চলনবিলবাসীর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।