Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুড়িগ্রামে হু-হু করে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি

পানিবন্দী দুই লাখ মানুষ

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২২, ৯:৫৭ এএম

গত তিন’দিনে ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীর পানি যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল। রোববার সকালে ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বাড়ার সাথে সাথে তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সেই সাথে বানভাসী এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে গত তিনদিনে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৯ উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫০টি গ্রামের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রৌমারী, উলিপুর ও সদর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির বেশি অবনতি ঘটেছে। শুরু হয়েছে বানভাসী মানুষের মধ্যে দুর্ভোগ। বন্যায় জেলায় প্রায় ৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। ফসলাদি নিমজ্জিত হয়েছে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর। নদীভাঙন ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরায় বানভাসী মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগের মধ্যে। এদিকে তীব্র পানির ¯্রােতে নাগেশ^রী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মুড়িয়ারহাট এলাকায় অস্থায়ী বেরিবাঁধের ২০/২২ ফুট ভেঙ্গে মেইনল্যান্ডের ফসলাদি তলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে উপাজেলা প্রশাসন থেকে রৌমারীতে ৬হাজার এবং সদর উপজেলায় প্রায় ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে ২০ লক্ষ টাকা এবং ৪০০ মেট্রিকটন চাল মজুদ রয়েছে বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার জানিয়েছেন। তবে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হাসান জানান, আমরা দুর্গত এলাকা পরির্দশন করছি। এরই মধ্যে উদ্ধার কার্যক্রম এবং শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে।
এদিকে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুর রশীদ জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফা বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়েছে। পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন শেষে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে নেয়া হবে। যাতে বন্যা পূনর্বাসন প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় তাদেরকে সহযোগিতা করা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ