বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন থাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন কর্মরত চিকিৎসক। ওই হাসপাতালে দফায় দফায় বিদ্যুতের তার চুরির ঘটনা ঘটছে। ফলে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল গোটা হাসপাতাল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সেবা নিতে আসা রোগীদের।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার (১৭ জুন) দিনগত ভোর চারটার দিকে কে বা কারা হাসপাতালের সার্ভিস তার চুরি করে নিয়ে যায়। এতে করে ভুতুড়ে পরিবেশ নেমে আসে হাসপাতালে। প্রচন্ড গরমে রোগীরা অস্থির হয়ে উঠেন। হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিভাগে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়। বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালের সব রকমের জরুরী সেবা বন্ধ থাকে। এছাড়া অচল হয়ে পড়ে এক্সরে মেশিন, ইসিজিসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি।
শনিবার (১৮ জুন) সরজমিনে হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, হাসপাতালটি অন্ধকারাচ্ছন্ন রয়েছে। নারী ওয়ার্ডের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাসপাতাল বিদ্যুৎহীন হয়ে আছে। রোগীদের খুব কষ্ট হচ্ছে। শ্বাসকষ্টের রোগী আবুল বাশার বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় নেবুলাইজার নিতে পারছি না।
এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এছাড়া দেখা গেছে কোনো চিকিৎসক মোমবাতি জ্বালিয়ে ব্যবস্থাপত্র লিখচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন কর্মী বলেন, এ নিয়ে গত তিন মাসে তিনবার সার্ভিস তার চুরি হয়েছে। এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র সার্ভিস তার, রোগীদের মোবাইল ও পার্টস চুরিসহ নানা অপরাধ করে চলেছে। একটি জরুরী সেবা কেন্দ্রে এ ধরনের চুরি উদ্বেগজনক।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মুহাইমিনুল ইসলাম তার চুরি হওয়ার ঘটনা স্বীকার করে তিনি বলেন, তার চুরির ঘটনা থানায় অবহিত করা হয়েছে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, সিসি ফুটেজ না মেলায় চোর শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ চলছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।