Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিতাসে নয়াবাজার রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

তিতাস (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বলরামপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী প্রায় ২শ’ বছর পূর্বের নয়াবাজার রক্ষা ও উন্নয়নের দাবিতে এলাকাবাসী ও দোকানীদের মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাজার সংলগ্ন প্রথমে মানববন্ধন পরে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়ন বলরামপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার শেষ অংশে পাকা সড়কের (কাজ চলমান) শেষ মাথায় এবং তিতাস নদীর পাড় সংলগ্ন বলরামপুর মৌজায় ৪৫ শতাংশ জায়গায় বাজারটি অবস্থিত। দীর্ঘ অনেক বছর কষ্ট করার পর এখন বাজারটি উন্নয়নের দারপ্রান্তে পৌঁছার সময় হওয়া মাত্রই শুনা যাচ্ছে বাজারটি ভেঙে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্প করা হবে। তাই এলাকাবাসী ওই ঐতিহ্যবাহী বাজারটি রক্ষার্থে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন ও মানববন্ধন এবং সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এলাকাবাসীর পক্ষে বলরামপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হাসান কিরন, তিতাস উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. আল-আমিন ভূইয়া, পল্লি চিকিৎসক আলী আকবর, সমাজ সেবক আব্দুল হালিম ভূইয়া, দোকানী নুর আলম, সমাজ সেবক সাইফুল ইসলাম, মো. কবির হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য রাইজ উদ্দিন বলেন, আমাদের বাপ-দাদার আমলের এই দু’শত বছর পূর্বের বাজারটি এখন আমাদের ঐতিহ্য। আমাদের বলরামপুর ইউনিয়নে একটি মাত্রই বাজার, এই বাজারটি ধ্বংস করে দিল আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। এখানে ৭-৮টি গ্রামের লোকজন এসে সকালে বাজার করে থাকে। বাজারের এই জায়গাটি সিএস, আরএস ও বিএস খতিয়ানে হাট লেখা আছে। সরকার কাউকে বলে নাই এক জনকে ধ্বংস করে অন্যজনকে গড়ে দেয়ার জন্য। যদি গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্প করে, তাহলে বাজারের পাশে আরও অনেক খাস জায়গা রয়েছে ওইখানে করুক আমাদের গ্রামবাসীর কোন আপত্তি থাকবে না। বাজারটি রক্ষা করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ টি এম মোর্শেদ বলেন, ওই বাজারটি মূলত সরকারি খাস জায়গার উপর অবস্থিত। যেহেতু এটা সরকারি খাস জায়গার উপর অবস্থিত সেহেতু এটা আজ অথবা কাল অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উচ্ছেদ করার মাধ্যমে উদ্ধার করা হবে।
আমরা চাই বাজারের এলোমেলো ঘরগুলো ভেঙে আশ্রয়ণ প্রকল্প করি। এখানে বাজারও থাকবে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরও হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ