Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মীরসরাইয়ে অবৈধভাবে চিংড়ির রেণু আহরণ

ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

মীরসরাইয়ের ফেনী নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বিভিন্ন স্থানে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে অবাধে চলছে গলদা-বাগদা চিংড়ির রেনু আহরণ। প্রতিদিন শত শত মানুষ নিষিদ্ধ মশারি ও ঠেলা জাল দিয়ে চিংড়ির রেনু আহরণ করছে। একটি চিংড়ি পোনার জন্য প্রতিনিয়তই ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য ও জলজ প্রাণীর হাজার হাজার পোনা। এ থেকে উত্তরণের জন্য দরকার ব্যাপক গণসচেতনতা ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান।
ফেনী নদীর মুহুরি সেচ প্রকল্প এলাকা থেকে শুরু করে মীরসরাইয়ের এর সাহেরখালী, ডোমখালী, ইছাখালী, বামনসুন্দর খাল, বানচন্দ খালসহ বেশ কিছু এলাকায় প্রতিদিনই লাখ লাখ চিংড়ি পোনা আহরণ করে প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত। এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ শুধু নদীতে চিংড়ি পোনা আহরণ করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। জেলেরা শুধু বাগদা-গলদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করে অন্যান্য মাছের রেণু ও জলজ প্রাণী ফেলে দিচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিনরাত পালাক্রমে উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন বয়সী মানুষ নদীতে নিষিদ্ধ মশারি ও ঠেলা জাল দিয়ে জেলেরা গলদা ও বাগদা চিংড়ি পোনা আহরণ করে বিক্রি করছে স্থানীয় ব্যাপারীদের কাছে। সেগুলো কিনে নিয়ে ব্যাপারীরা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে খুলনা, বাগেরহাট ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন চিংড়ি ঘের মালিকদের কাছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কিছু লোক চিংড়ি পোনা ধরতে গিয়ে অন্য প্রজাতির মাছের পোনাও ধ্বংস করে ফেলেন। একটি চিংড়ি পোনার জন্য তারা গড়ে শতাধিক অন্য মাছের পোনা ধ্বংস করে থাকে।
পোনা আহরণকারী জেলে হরিলাল জলদাস ও হকসাব বলেন, স্থানীয় মহাজনেরা পোনা আহরণকারীদের কাছ থেকে প্রতিটি পোনা মাছ ১ থেকে ২ টাকায় কিনে আড়তে জমা করেন। আড়ৎ থেকে পরে মাছগুলো ঢাকা, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন চিংড়ি ঘেরগুলোতে (খামার) পাঠিয়ে থাকেন। উপকূলীয় অঞ্চলের প্রান্তিক পোনা সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত পোনা তারা প্রতিটি ৫ থেকে ৭ টাকা দরে খামার (ঘের) মালিকদের কাছে বিক্রি করে দেন।
মীরসরাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ বলেন, চিংড়ির রেণু পোনা ধ্বংস করা অবৈধ। আমরা কয়েকদিন আগেও অভিযান পরিচালনা করি এবং চিংড়ি আহরণের মশারি জাল জব্দ করেছি। আমরা খুব শিগ্রই আবার অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, ফেনী নদী এলাকায় কিছু মানুষ চিংড়ি রেণুু সংগ্রহ করছে এটা বৈজ্ঞানিক নয় যার ফলে তারা যে পরিমাণ সংগ্রহ করছে তার চেয়ে বেশি পরিমান অন্য মাছের পোনা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমরা শিগ্রই অভিযান পরিচালনা করবো কেউ আইন অমান্য করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ