রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, ‘সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন, গুম করে কখনোই পাহাড়ে শান্তি ফিরবে না। শান্তি ফিরিয়ে আনতে ১৯৯৭ সালে আলোচনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের শান্তি ফিরিয়ে আনতে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। এরপরও পার্বত্য অঞ্চলে সংঘাত, খুন, গুম, চাঁদাবাজি কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।’ তিনি বলেন, সংঘর্ষ, যুদ্ধ ও মারামারি করে সব কিছু পাওয়া যায় না। পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধ ছাড়াই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আলোচনা মাধ্যমে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। চুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া, শেখ হাসিনার ছাড়া আর কেউ চুক্তি বাস্তবায়ন করবে না। পার্বত্য চট্টগ্রাম হাজার হাজার মানুষ তাদের স্বজন হারিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও মা, বাবা, ভাই হারিয়েছেন। এ হারানোর উপলব্ধী থেকে তিনি পার্বত্যবাসীর দুঃখ বুঝেন প্রধানমন্ত্রী। এ উপলব্ধী থেকে তিনি পার্বত্য চুক্তি সম্পাদন করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়।
মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং আরো বলেন, উন্নয়নের প্রধান শর্ত শান্তি। অপহরণ, চাঁদাবাজি ইত্যাদি বাড়ে তাহলে শান্তি ফিরবে না। আমরা যারা রাজনীতি করি পাহাড়ের জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করি। অতীতের সমস্যাগুলো একদিনে সমাধান সম্ভব না। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। হেডম্যানদের নানা দাবির প্রেক্ষিতে দাবিগুলো নিয়ে প্রধনমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সভাপতি কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে হেডম্যান সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বান্দরবান জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিংইয়ং ম্রো, খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, হেডম্যান চিংকিউ রোয়াজা, শান্তি বিজয় চাকমা, জয়া ত্রিপুরা, এএলআরডি উপ-নির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের হেডম্যান কার্বারিরা এ এলাকার প্রাণ। তাদের দেশের বর্তমান ও আধুনিক বিশ্বের খবরা খবর রাখতে হবে। তাকে বিভিন্ন জ্ঞান রাখতে হবে। কারণ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সে সনাতনী চিন্তা নিয়ে থাকলে হবে না। এখন মানুষ অনেক শিক্ষিত হচ্ছে। এদেরকে নেতৃত্ব দিতে হলে হেডম্যান কার্বারীদের আরো দক্ষ হতে হবে। কিন্তু হেডম্যান কার্বারীরা সে বিবেচনায় তেমন দক্ষ নয়। তাদের মধ্যে একে অপরের সমন্বয় নেই। বেতন ভাতা বৃদ্ধির আশায় সরকারের উপর চেয়ে থাকলে হবে না। নিজের কাজ নিজেকে করতে হবে। সম্মেলনে তিন পার্বত্য জেলার ৩৫০ জন হেডম্যান কার্বারী অংশ গ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।