Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

লৌহজংয়ে শখের বসে ছাদে ড্রাগন চাষ

মো. শওকত হোসেন, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

শখের বসে ড্রাগন চাষেই ভাগ্য খুলেছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাসের। বিদ্যালয়ের ছাদে শখের বসে লাগানো কয়েকটি গাছ থেকে তার এখন শতাধিক গাছ। সফলতা দেখে এলাকাবাসীরাও ঝুকছেন ড্রাগন চাষে। করোনাকালীন সময়টা কারোরই শুখকর ছিলোনা। অনেকেই দীর্ঘ সময় অলস সময় পার করেছেন ঘরে বসে, আবার অনেকেই এই সময়টা কাজে লাগিয়েছেন কোনো না কোনো কিছু করে। কেউ কবিতা, গল্প ও উপন্যাস লিখেছেন কেউবা আবার ফুলের বাগান, ফলের বাগান ও ছাদ বাগান করেছেন। তেমনি একজন প্রধান শিক্ষক তার বিদ্যালয়ের ছাদে ড্রাগন ফলের চাষ করে তাক লাগিয়েছেন। লৌহজং নয় পুরো মুন্সীগঞ্জে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাদে ড্রাগন চাষ। বড় ১০০টি ও ছোট ৭০টি ড্রামে চাষ করা হয়েছে ড্রাগন ফলের চাষ। প্রত্যেক বড় ড্রামে ৪টি করে ও ছোটগুলোতে ২ করে গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে বছরে ১০/১৫টি ফল দেয়। ড্রাগন গাছে এপ্রিল, মে মাসে ফুল আসে এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এমনকি নভেম্বর মাস পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়।

লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী বৃষ্টি আক্তার বলেন, আমাদের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ছাদে ড্রাগন ফলের চাষ করেছেন। এই বাগান থেকে স্যার আমাদের কে ড্রাগন ফল খাওয়াইছেন। এমনকি ড্রাগন গাছের চারা আমাদের কে দিয়েছেন।

লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হালিমুজ্জামান বলেন, অনেকেই দূর-দুরান্ত থেকে দেখতে আসেন এই ড্রাগন ফলের বাগান। বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা এই বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয় এবং নতুন বাগান করতে আগ্রহী হবে। বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সভাপতি ও লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। তারপরও একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে কর্মরত আছি। করোনাকালীন সময়টাকে আমি কাজে লাগিয়েছি। মূলত শখের বসে বিদ্যালয়ের ছাদে ড্রাগন ফলের চাষ করেছি। তিনি আরোও বলেন অন্যান্য ফল গাছ বছরে একবার ফল দেয়। আর ড্রাগন বছরে অধিকাংশ সময় ফল দিয়ে থাকে। আমাদের ছাত্রীরা যাতে করে নিজেদের বাড়িতে ফল বাগান করতে পারে এবং এই বাগান দেখে অনুপ্রেরনিত হয় সেই প্রচেষ্টায় এই ছাদ বাগান করা।

বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফলের চাষ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মূলত শখের বশে বিদ্যালয়ের ছাদে ড্রাগন ফলের বাগান করেছি। বছরে যা ফল পাওয়া যায় তা আমরা ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা মিলে খাওয়া হয়। মাঝে মাঝে অন্যদের কে ও উপহার হিসেবে দিয়ে থাকি। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার আবাদত ইচ্ছা নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ