Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিলমারীতে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি, ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দি

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২২, ৬:১৯ পিএম

চিলমারীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কয়েকদিনের টানা প্রবল বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১১ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল সমুহের প্রায় ২হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর জমির পাটসহ বিভিন্ন ফসল।পানি বৃদ্ধির ফলে অষ্টমীরচর ইউনিয়নে গত কয়েক দিনের নদী ভাঙ্গনে ১৫-২০ টি পরিবার নদী গর্ভে বিলিন হওয়াসহ প্রায় ৩০টি পরিবার হুমকির মুখে রয়েছে।
সূত্র বলছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার নিম্নাঞ্চলসমুহ প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এছাড়াও অষ্টমীরচর ইউনিয়নের খোর্দ বাশপাতার,খামারবাশপাতার, ছালিপাড়া,চরমুদাফৎ কালিকাপুর ও নটার কান্দি এলাকাসমুহের প্রায় ৮শ পরিবার,নয়ারহাট ইউনিয়নের বজরা দিয়ারখাতা, নাইয়ারচর,উত্তর খাউরিয়া পশ্চিমপাড়া ও খেরুয়া নতুন গ্রাম এলাকা সমুহের প্রায় ২শতাধিক পরিবার, রমনা ইউনিয়নের ভটÍপাড়া, সাতঘরিপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া এলাকাসমুহে প্রায় ২শ পরিবার, চিলমারী ইউনিয়নের ১শ পরিবার এবং রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের পূর্বদিকে নয়াবস, মজারটারী, চড়েয়াপাড়া, বাগানবাড়ী, জকরিটারী, তেতুলকান্দি, দ.মাঝিপাড়া এলাকাসমুহে প্রায় ৭শতাধিক পরিবার মিলে মোট প্রায় ২হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।এছাড়াও চরাঞ্চলসমুহের হাজার হাজার একর জমির পাটসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে অষ্টমীরচর ইউনিয়নের চর মুদাফৎকালিকাপুর এলাকায় ১৫-২০টি বাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে এবং হুমকির মুখে রয়েছে প্রায় ৩০টি বাড়ী। অষ্টমীরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, নদী ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত লোকজনের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বন্যার্তদের সাহায্যার্থে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পাউবো ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টের গেজ রিডার জোবায়ের হোসেন জনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী পয়েন্টে পানি ৫৬সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১১সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষের মাঝে এখন পর্যন্ত সরকারী কিংবা বে-সরকারীভাবে কোন সাহায্য দেয়া হয়নি। উপজেলা কৃষি অফিসার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, উপজেলায় মোট ৩হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। বর্তমানে পানি বৃদ্ধির ফলে ১শ হেক্টর জমির পাট সম্পূর্ণ নিমজ্জিতসহ কিছু অংশ পানিতে আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পেয়ে কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবসময় খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। পানি বন্দি পরিবারের তালিকা করার জন্য চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ