বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ স্টেশন এলাকা বন্যাকবলিত হওয়া ঠেকাতে শুরু হয়েছে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ (শুক্রবার) সকাল পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি অবলোকন করে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণে সিলেট জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেন। আজ সকাল থেকে সেখানে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ চলছে। কুমারগাঁও বিদ্যুৎ স্টেশন থেকে ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এখানে সরবরাহ বন্ধ হলে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট দেখা দেবে। পাশাপাশি সিলেট অঞ্চল পুরোটা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ার শংকা থাকবে। ইতিমধ্যে একাংশ বন্যাকবলিত হওয়ায় সিলেট নগরীর একাংশ ও সুনামগঞ্জ জেলা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় পড়েছে।
বিদ্যুৎ স্টেশনে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যে সকল যন্ত্রপাতি রয়েছে, সেগুলো বন্যাকবলিত হয়ে পড়লে পুনরায় মেরামত সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ জন্য কোনোভাবে যেন পানি না ঢোকে সেই ব্যবস্থা করার কাজ চলছে। এ ব্যাপারে সিসিক মেয়র বলেন, এই মুহুর্তে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি কুমারগাও বিদ্যুৎ স্টেশনকে। আর ৫/৬ ইঞ্চি পানি বাড়লে এই কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন না হলে গোটা সিলেট বিভাগের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটি হলে কার্যত সিলেট বন্যার ক্ষতির পাশাপাশি বড় ধরণের সংকটে পড়বে। মেয়র বলেন, গত রাত থেকে এই সংকট মোকাবিলায় আমি প্রশাসনের সকল বিভাগ ও শাখার সহযোগিতা চেয়েছি। সিটি কর্পোরেশনের, জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহীনি কুমারগাও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্যার কবল থেকে বাচাতে কাজ শুরু করেছে। এখানে আমার সাথে সিলেটের জেলা প্রশাসক, সেনা কর্মকর্তা সহ সকল দপ্তর সংস্থার কর্তারা আছেন। আমরা বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ও মাটি দিয়ে সুরমা নদীর পানি যাতে কেন্দ্রে না ঢুকতে পারে তার জন্য অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছি।
সিসিক মেয়র জানান, বাঁধ নির্মাণ হলেই সিসিকের সাকার মেশিন দিয়ে কুমারগাও স্টেশনের ভিতরের পানি নিস্কাশনের কাজ শুরু করবো। আশা করছি সকলে সহযোগিতায় সিলেটের বিদ্যুৎ সরকরাহ স্বাভাবিক রাখতে পারলে বড় ধরনের সংকট থেকে রক্ষা পাবো। এদিকে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতিতে নানা সংকট তৈরী হয়েছে। একদিকে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। নগরের দক্ষিণ সুরমা ও উপশহর এলাকায় বিদ্যুতের সাব স্টেশনে পানি ঢুকে যাওয়ায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন দুর্ভোগে পড়া পানিবন্দি নাগরিকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।