পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের সরকারি দল বিজেপির মুখপাত্রের মহানবীকে (সা.) কট‚ক্তির প্রতিবাদ করায় চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) চার ছাত্রকে আবাসিক হল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষ তরফে বলা হচ্ছে, ওই চার শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রীকে কট‚ক্তি ও ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়েছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ও তাদের সহপাঠীরা বলছেন, বাংলাদেশসহ সারাবিশে^র প্রতিবাদি মানুষের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে তারাও ক্যাম্পাসে মহানবীর (সা.) অবমাননার প্রতিবাদ করেছেন। বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে করা ওই মানববন্ধনে কয়েক শ’ শিক্ষার্থী শরিক হন। কিন্তু ওই কর্মসূচির পর সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনের কতিপয় নেতা ওই চার ছাত্রের পিছু নেয়। তারা নানাভাবে তাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টকারী হিসাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন। একজনকে ছাত্রলীগ পরিচয়ের কয়েকজন মিলে হলের রুমে আটকে রেখে বেধড়ক মারধরও করেন।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার এক অফিস নোটিশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিকেল অনুষদের ডিভিএম-এর ২৪তম ব্যাচের চার শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত এই চার শিক্ষার্থী হলেন- ২৪তম ব্যাচের বোরহান উদ্দিন মোহাম্মদ সাজ্জাদ, মোমিন বিন রহিম, তসলিম উদ্দিন ও মোহাম্মদ তানভীরুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম স্বাক্ষরিত সেই অফিস নোটিশে বলা হয়, উল্লেখিত শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কট‚ক্তি, ধর্মীয় উস্কানিমূলক, সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি ও গণতন্ত্র পরিপন্থি বিবৃতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় তাদেরকে সিভাসুর আইন মোতাবেক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ. হান্নান হল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।
জানা যায়, হল থেকে বহিষ্কৃত হওয়া ওই শিক্ষার্থীদের তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। বিভাগের সেমিস্টার পরীক্ষা চলাকালীন হল থেকে বের করে দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই শিক্ষার্থীরা। আর প্রায় দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ নিলেও শুধুমাত্র এই চারজনকে শাস্তি প্রদান করায় অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, মহানবীর (সা.) অবমাননার প্রতিবাদে দেশের প্রায় সব বিশ^বিদ্যালয়, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। তা হলে এই বিশ^বিদ্যালয়ের চার ছাত্রকে কেন সাজা পেতে হবে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ কোন প্রকার শোকজ ছাড়াই তাদের বহিস্কার করা হয়েছে। তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগও দেয়া হয়নি।
এদিকে রাসূলের (সা.) অবমাননার প্রতিবাদে মানববন্ধন করায় চার শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তাসনিম ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি ঠিক সে কারণেই করা হয়নি। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করেছে, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কট‚ক্তি করেছে। তাই তাদেরকে আবাসিক হল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।