বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : এক প্রতারকের ফাঁদে পড়ে গৃহপরিচারিকা হিসাবে বন্দি হালিমা সাদিয়ার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দেয়া হলো না। চার মাস বন্দি থাকার পর নগরীর মেহেদীবাগের একটি ফ্ল্যাট বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ কাজে পুলিশকে সহযোগিতা করে একটি মানবাধিকার সংস্থা।
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার সাইড়মারা গ্রামের দরিদ্র আবদুছ সালাম ও দিলুয়ারা বেগমের প্রথম কন্যা হালিমা সাদিয়া গ্রামের একটি স্কুলে ৫ম শ্রেণির ছাত্র। এবার তার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল।
চার মাস আগে পরিচিত একটি মেয়ের ফাঁদে পড়ে চট্টগ্রাম শহরে ভালো কাজের আসায় চলে আসে সাদিয়া। ওই মেয়েটি শহরে একটি বাসায় কাজ করে। তাকেও ভালো কাজ দেবে এমন আশ্বাস দিয়ে শহরে এনে একটি ফ্ল্যাট বাড়িতে কাজ দেয়। কিন্তু ওই ফ্ল্যাটি বাড়ির লোকজন তাকে অনেকটা জিম্মি করে রাখে। এর মধ্যে পিতামাতা খবর পেয়ে মেয়ের সাথে যোগাযোগ করেও মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, পাশের গ্রামের একটি মেয়ে শহরে গৃহকর্মীর কাজ করতো। সে সুবাদে হালিমা সাদিয়ার সাথে পরিচয় হয়। শহরের রঙিন জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে ঐ মেয়ে হালিমাকে শহরে এনে এক বাসাবাড়িতে দিয়ে দেয়।
হালিমার মা দিলুয়ারা বেগম মেয়েকে উদ্ধারের জন্য গত সোমবার মেহেদীবাগস্থ ইয়াছিন চেয়ারম্যানের ফ্ল্যাটে যায়। সেখানে ইয়াছিন চেয়ারম্যানের স্ত্রী গৃহকর্ত্রী মাহমুদা খানম হালিমার মাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। হালিমার মা দিলুয়ারা বেগম মানবাধিকার কর্মী সাইমা হকের সাথে যোগাযোগ করেন। সাইমা হক দিলুয়ারাকে দিয়ে চকবাজার থানায় মেয়ে উদ্ধারের জন্য অভিযোগ দায়ের করেন। চকবাজার থানা ওসির নির্দেশে এসআই আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে হালিমাকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে হস্তান্তর করেন। এসআই মমতাজ খাতুন জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার মা-বাবার কাছে দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।