Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

টেন পারসেন্ট ফারুক

নগদ না দিলে আটকে রাখে চেক

মোস্তফা শফিক, কয়রা (খুলনা) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

খুলনার কয়রা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অফিস সহায়ক টেন পারসেন্ট ওমর ফারুক এখন ছায়া সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্পের নগদ ‘টেন পারসেন্ট’ টাকা না দিলে প্রকল্পের চেক আটকে রাখেন তিনি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের শেখের কোনা গ্রামের সাইফুল ইসলাম শেখের ছেলে ওমর ফারুক। ২০১১ সালে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে যোগদান করেন। তারপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অফিসে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যিনি যোগদান করেছেন তাকেই বশে এনেছেন সুচতুর ফারুক হোসেন। তারপর শুরু করেছেন টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্প থেকে টেন পারসেন্ট টাকা আদায়। এছাড়াও কর্মসৃজনী প্রকল্পে কোন শ্রমিক কম থাকলে তার ভাগও তাকে দিতে হয়। প্রকল্পের সভাপতি টাকা দিতে আপত্তি করলে চেক আটকে রেখে টাকা আদায় করে চেক ছেড়ে দেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নাম করে অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আদায় করে থাকেন বলে একাধিক প্রকল্প সভাপতির অভিযোগ। যার প্রতিবাদে ৩ মাস আগে স্থানীয়রা ফারুককে গনধোলাই দিতে বাধ্য হয়েছিল। এরপরেও তিনি তার অদৃশ্য ক্ষমতার বলে এ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি সদস্য অভিযোগ করে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অফিস সহায়ক ফারুক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নাম করে নগদ টেন পারসেন্ট করে টাকা আদায় করে থাকেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে চেক আটকে রেখে টাকা পাওয়ার পর চেক হস্তান্তর করেন।
কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে ফারুকের মাধ্যমে টেন পারসেন্ট টাকা আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে আমি উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভায় তার প্রতিবাদ করি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অফিস সহায়ক ওমর ফারুক ‘টেন পারসেন্ট’ টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্যারের অধীনে চাকুরি করি স্যার যেভাবে বলে আমি সেভাবেই কাজ করি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতি.) ইমরুল কায়েস বলেন, এগুলো আগের ঘটনা। এ বিষয়ে আমি ভাল জানিনা। আমি এই উপজেলায় একমাস হল অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। তবে আমি যতদিন আছি এরকম ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবেনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে তাকে আগেই সর্তক করা হয়েছে। তারপরও অনিয়ম করে থাকলে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ