বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার সায়েরগাছা এলাকায় বাড়িতে ডেকে প্রেমিককে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনা ঘটেছে। হত্যার ১২ ঘন্টার মধ্যে লাশ উদ্ধারসহ দুই যুবতীকে আটক করেছে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠিয়ে তাদের স্বেচ্ছায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আবেদন করেছে পুলিশ। তারা হলেন, নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার সায়েরগাছার গ্রামের একরামুল ইসলাম ভাদুর মেয়ে মেরিনা খাতুনও ঈশা হকের মেয়ে নেশা খাতুন। তারা পরস্পর বান্ধবী এবং গৃহকর্মী।
অপরদিকে নিহত রাশিদুল মণ্ডল নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার পয়লান গ্রামের জহির মণ্ডলের ছেলে। রশিদুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে রশিদুল ওই এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করে আসছেন।
কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম গত বুধবার দুপুরে সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে মেরিনাকে আটক করে। পরে মেরিনার দেয়া তথ্যমতে বাড়ির ছাদের স্টোর রুম থেকে রশিদুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। এর পর লাশ গুমে সহযোগিতা করায় নিজ বাড়ি থেকে নেশা খাতুুনকে গ্রেফতারর করা হয়।
তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত প্রেমিক রশিদুলের পিতা জহির মণ্ডল বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ জানান, সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়িতে কাজের সুবাদে প্রায় এক বছর আগে মেরিনা খাতুনের সাথে রশিদুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মেরিনা খাতুন বুলবুল আহম্মেদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো।
গত মঙ্গলবার রাতে বুলবুলের বাড়িতে রশিদুলকে ডেকে নিয়ে যায় মেরিনা। সেখানে মেরিনা রশিদুলকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। রশিদুল পরিবারের সাথে কথা বলে পরে জানাবে বলেন। এ সময় মেরিনা তাকে রাতেই বিয়ে করার জন্য জোর-জবরদস্তি করে। এক পর্যায়ে রাত ১১ টার দিকে রশিদুল সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে মেরিনা বাঁধা দেয়।
এ সময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মেরিনা ধাক্কা দিয়ে রশিদুলকে ফেলে দেয়। পরে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠার আগেই ভোর রাতে মেরিনা তার বান্ধবী নেশা খাতুনকে ডেকে নিয়ে আসে। এর পর দুইজনে লাশ বাড়ির ছাদের স্টোর রুমে লুকিয়ে রাখে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।