বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1719816742](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের বিশ্বনাথে আবারও দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এবারের বন্যাায় তলিয়ে গেছে লামাকাজি-সুনামগঞ্জ সড়ক ও বিশ্বনাথ বৈরাগী বাজার-সিংগেরকাছ সড়ক। তবে বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ও লামাকাজী ইউনিয়নের ৭৫ভাগ ঘর বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্টান পানিতে তলিয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। এছাড়াও বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে রামপাশা, দশঘর, দৌলতপু ও দেওকলস ইউনিয়নে। গত তিন সপ্তার আগে বিশ্বনাথে প্রায় সবকটি ইউনিয়ন ছিল বন্যা করলিত। সেই বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই দেখা দিয়েছে ফের বন্যা। টানা দুইবারে বন্যায় পানিবন্দি ছয় ইউনিয়নের প্রায় হাজারও পরিবার এখন দিশেহারা। এদিকে উচু স্থান পর্যাপ্ত না থাকায় বন্যা় কবলিত মানুষ তাদের গৃহপালিত পশু, হাঁস, মুরগ ও মাছের খামার নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। মানুষের খাবারে পাশাপাশি দেখা দিয়েছে পশু খাদ্যেও সংকট। সরেজমিন ঘুরে এমনটাই জানাগেছে উপজেলার পানিবন্দি মানুষের কাছ থেকে। তারা বলছেন গত বন্যায় চেয়ে এ বন্যার রূপ ভয়ঙ্কর। তাদের দাবি সরকারি সাহায্য সহযোগীতা যেন অব্যাতহ থাকে, আর যারা পানিবন্দি তারা যেন ত্রান পায়।
এদিকে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান এ প্রতিবেদকে জানিয়েছেন, প্রায় ছয়টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত। এই ইউনিয়ন গুলুতে ৩টন করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। আর শুকনো খাবারের জন্য আমরা আলোচনা করেছি। আসলেই দ্রুত বিতরণ করা হবে। আমরা পানিবন্দি মানুষের পাশেই আছি।
লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া ও খাজাঞ্চি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাজি আরশ আলী গনী ইনকিলাবকে বলেন, এই দুই ইউনিয়নে প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষ পানিবন্দি। উপজেলা পরিষদ থেকে যে চাল পাওয়া গেছে তা পর্যাপ্ত নয়। বিষেশ করে বর্তমানে শুকনো খাবার অতি প্রয়োজন। তারা বলেন, টানা দুই বারের বন্যায় এই দুটি ইউনিয়নে যে ক্ষতি হয়েছে তা আগামি দুই বছরেও পোষানো সম্ভব আছে বলে মনে করছেন না। রামপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যার আলমগীর হোসেন, দশঘর ইউনিয়ন চেয়ারম্যার এমাদ খান, দেওকলস ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খাইরুল আমিন আজাদ ও দৌলতপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন জানান, তাদের ইউনিয়নে ৪ থেকে ৫টি ওয়ার্ড পানিতে তলিয়ে গেছে এবং পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারাও বন্যার্থদের নিয়ে খুব চিন্তিত রয়েছেন। কারন পর্যাপ্ত খাদ্য নেই, বাসস্থান নেই, পানি সঙ্কট। তাছাড়া বন্যার পানিতে প্রায় শতাধিক কিলোমিটার রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে গেছে। সরকারের কাছে তাদের দাবি, টানা দুই বারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পর্যাপ্ত খাবার, যাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে তাদের পাশে দাঁড়ানো, কৃষি সাহায্য ও পাশাপাশি রাস্তাঘাট মেরামতে যেন দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।