বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাগুরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় ৪৯ হাজার ৯৬৬ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। জেলার চার উপজেলার বিভিন্ন মাঠজুড়ে গ্রীষ্মকালীন সবজির সমারোহে সবুজ হয়ে উঠেছে। বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম ভালো পাওয়ায় চাষির মুখে খুশির ঝিলিক মিলছে। আমদানী ও ভাল। মাগুরা থেকে উৎপাদিত গ্রীস্মকালীন সবজি যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শুরু থেকে গ্রীষ্মকালীন সবজির আবাদ শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলা- মাগুরা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে ৪৯ হাজার ৯৬৬ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৩২ মেট্রিক টন। এর মধ্যে মাগুরা জেলায় গ্রীস্মকালীন সবজি চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমি। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার ২১৩ মেট্রিক টন। যশোর জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন। ঝিনাইদহ জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৩৭০ মেট্রিক টন। কুষ্টিয়া জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৬১১ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৯ মেট্রিক টন এবং মেহেরপুর জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ১৯০ মেট্রিক টন।
মাগুরার লক্ষীকান্দর, রামনগর, মধুপুর, জারিয়া আঠারখাদা, বারইপাড়া এলাকার একাধিক সবজি চাষি ইনকিলাবকে জানান, বিঘা প্রতি জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষে তাদের খরচ হয় ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকার মতো। একবিঘা জমিতে তারা কমপক্ষে ৫০ থেকে ৭০হাজার টাকার সবজি বিক্রি করে থাকেন।
বাজার ঘুরে জানা যায়, বর্তমানে খুচরা বাজারে এক কেজি বেগুন ৫০-৫৫ টাকা, ধুন্দল প্রতিকেজি ২৫ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক প্রতিকেজি ৫০-৬০ টাকা, বরবটি শিম প্রতিকেজি ৩৫-৪০ টাকা, ঝিঙ্গে প্রতিকেজি ৪০ টাকা, উচ্ছে প্রতিকেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ৪০ টাকা, ক্ষিরে প্রতিকেজি ৪০ টাকা, পটল প্রতিকেজি ৫০টাকা, কচু সাইজভেদে ২০-২০ টাকা, ডাটা প্রতি আটি ২০ টাকা এবং লাউ সাইজভেদে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, মাগুরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলার জমি সবজি উৎপাদনের জন্য উর্বর। এখানকার উৎপাদিত সবজির চাহিদা সর্বত্র রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।