পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় গ্রেফতার সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি Ñমর্মে খারিজ করে দেন। বাবরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মিজানুর রহমান। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম আমিনউদ্দিন মানিক শুনানিতে অংশ নেন। এর আগে গত ২৪ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক একবার তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে তারপক্ষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।
গতবছর ৩ মার্চ বাবরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধ চার্জশিট দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, এলজিআরডি মন্ত্রীর এপিএস ফুয়াদ, সাজ্জাদ হোসেন বরকত, ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, আশিকুর রহমান ফারহান, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মোহাম্মদ আলী দিদার ও তারিকুল ইসলাম নাসিম। অর্থ পাচারের মামলায় গত ৭ মার্চ রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরকে গ্রেফতার করা হয়।
জামিন শুনানিকালে আদালত বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরসহ (এলজিইডি)সহ এমন কোনো দফতর নেই যেখানে খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবু টেন্ডারবাজি করেননি। তার কারণে দেশের ভাবমর্যাদা নষ্ট হয়েছে। টাকা পাচারের মূল হোতাও বাবু। এ ধরণের আসামিদের কেন জামিন দেয়া হবে?
আদালত মোহতেশামকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি একজন মন্ত্রীর ভাই। আপনার একটা লিডারশিপ রয়েছে। এলজিইডি থেকে শুরু করে এমন কোনো দফতর নেই যেখানে আপনি টেন্ডারবাজি করেন নি। এ সময় আদালত বাবরকে ফরিদপুরে ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের ‘মূল হোতা’ বলে উল্লেখ করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, সংঘটিত অপরাধের মাস্টারমাইন্ড ও রিং লিডার মোহতেশাম। তিনি অন্যান্য আসামিদের আশ্রয়-পশ্রয় দিয়েছেন। ছিলেন তাদের পরামর্শ দাতাও। তার কারণে সরকার ও দেশের মানুষের ভাবমর্যাদা নষ্ট হয়েছে।
এ সময় মোহতেশানের আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টি কোনো অভিযোগ নেই। তার চাঁদাবাজি করারতো দরকার নেই। তার শ্বশুর মন্ত্রী ছিলেন। পারিবারিকভাবেও তারা ধনী। এ সময় আদালত বলেন, যার আছে সেইতো করে। বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট। বাবরের আইনজীবী বলেন, তিনি মন্ত্রীর ভাই ঠিক আছে। কিন্তু তিনি অপ্রচারের শিকার। মিডিয়া দিয়ে বিচার করলেতো হবে না। এসময় আদালত বলেন, আপনি (বাবর) অপরাধী কি-না সেটি বিচারে প্রমাণিত হবে। কিন্তু নথিতে প্রাথমিক অপরাধের উপাদান আছে।
সরকারপক্ষীয় আইনজীবী একেএম আমিনউদ্দিন বলেন, অর্থ পাচারতো একটা অর্গানাইজড ক্রাইম। এই অপরাধের নেপথ্য হোতা মোহতেশাম। তার নেতৃত্বে এই সিন্ডিকেট চলেছে। এ সময় ্আদালত মামলার নথি দেখে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
শুনানি শেষে আদালত আদেশ দিতে চাইলে সৈয়দ মিজানুর রহমান ‘নট প্রেস’ করার অনুরোধ জানান। এ প্রেক্ষিতে আদালত আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি -মর্মে খারিজ করে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।