পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তেলের দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, মূল্য সমন্বয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তবে এখনও কিছু নির্ধারিত হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ভবনে বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিপিএমআই) আয়োজিত এক কর্মশালা শেষে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নসরুল হামিদ বলেছেন, যেভাবে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বাড়ছে সেটা খুব অস্বাভাবিক। আমাদের চিন্তা করতে হবে এই অবস্থা কতদিন চলবে। বিপিসি প্রতিদিন শতকোটি টাকা লোকসান গুনছে। দাম পরিবর্তন করবো কিনা, কোথায় সমন্বয় করবো বা আদৌ করবো কিনা এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করছি। এরপর সরকারের কাছে প্রস্তাব করবো।
তিনি বলেন, লোকসানের দায় কে নেবে? আমাদের গ্রাহকরা আছেন, যারা জ্বালানি পরিবহন করেন তাদের ওপর কোনও চাপ পড়ুক তাও আমরা চাই না। আমরা চাই সমন্বয় করতে। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিপিসি প্রতিদিন শতকোটি টাকা লোকসান গুনছে। আমরা আসলে কত এই লোকসান করবো?
তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট করে। বাড়লে বাড়ায়, কমলে কমায়। আমার এই মুহূর্তে সেদিকে যাবো কিনা সেটা চিন্তার বিষয়। এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে ভারতের সঙ্গে এখন আমাদের তেলের দামের অর্ধেক পার্থক্য তৈরি হয়ে গেছে। সে তুলনায় এখনও আমরা স্থিতিশীল অবস্থায় আছি। আমরা কতটা বাড়াবো সে জায়গাটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হচ্ছে। যাত্রীদের ওপর কী ইফেক্ট হবে, পরিবহনে কী ইফেক্ট পড়বে সব আমাদের ভাবতে হচ্ছে।
জ্বালানি বিভাগ জানায়, এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে লিটার প্রতি ডিজেলের দাম অনেক কম। জুনে আমাদের ডিজেলের লিটার প্রতি দাম যেখানে ৮০ টাকা, সেখানে ভারতে এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। একইভাবে পাকিস্তানে ৯৪ টাকা, নেপালে ১১৩ টাকা, শ্রীলঙ্কায় ১০১ টাকা। এছাড়া সবচেয়ে বেশি এখন হংকংয়ে। দেশটিতে ২০৫ দশমিক ৫২ টাকায় ডিজেল বিক্রি হচ্ছে (ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য ৯২ টাকা ধরে)।
সম্প্রতি প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পর বিদ্যুৎতের দাম বাড়ানোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এরমধ্যে প্রতিমন্ত্রীর এই ইঙ্গিতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে এমন সিদ্ধান্ত নিলে সাধারণ মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাবে বলে মনে করেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।