প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ঢাকার চলচ্চিত্র জগৎ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া; সব জায়গায় এখন ওমর সানী-মৌসুমী-জায়েদ খান নিয়ে চলছে তীব্র আলোচনা সমালোচনা। এরই মধ্যে যুক্ত হলেন ওমর সানী-মৌসুমী দম্পতি সন্তান ফারদিন এহসান স্বাধীন। ফারদিন এহসান স্বাধীনের সঙ্গে কথা বলে এরই মধ্যে বেরিয়ে এসেছে জানা-অজানা অনেক তথ্য। ফারদিনের বয়ানে উঠে আসে সোমবারের অডিওবার্তা রাগের মাথায় দিয়েছেন মৌসুমী।
তবে ঠিক কী কারণে তার মা (মৌসুমী) বাবার (ওমর সানী) বিপরীতে কথা বলেছেন, জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে ফারদিন বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। মা বলেছে, দেখ বাবা, আমি তো তখন রাগের মাথায় বলেছি। তোমার বাবার সঙ্গে একটু রাগারাগি হয়েছে। সেভাবেই বলেছি। আমি কিন্তু মিথ্যাচার করছে সানী, এটা সরাসরি বলিনি। যতটুকু বলেছি, আমি রাগের মাথায় বলেছি।’
এ প্রসঙ্গে ফারদিন আরও বলেন, ‘আমার আম্মাকে (মৌসুমী) জিজ্ঞেস করেছিলাম। বলেছিলাম, মা, তুমি অডিওবার্তার প্রথমে ও শেষে কী বললে? জানতে চেয়েছিলাম, বিশ্রী একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। (কারণ, সিচুয়েশনটা আগলি না।) এটা সমাধান করতে হবে ঘরোয়াভাবে। এটা মিউচুয়াল করতে গণমাধ্যম পর্যন্ত যাওয়া লাগবে না। চলচ্চিত্রের সিনিয়ররা আছেন, তারাই বিষয়টি সমাধান করতে পারেন।’
মৌসুমীর জায়েদ খানের পক্ষে কথা বলা প্রসঙ্গে ফারদিন জানান, ‘এটা নিয়ে যেন এত কাদা-ছোড়াছুড়ি না হয়, সেই চিন্তা থেকেই আম্মু কথাগুলো বলেছেন। এক জায়গায় দেখলাম আম্মু নাকি বলেছেন, মিথ্যাচারে জড়াচ্ছেন ওমর সানী। আম্মু যদি কোথাও এমন স্টেটমেন্ট দিয়ে থাকেন তবে আমি বলব, এটা ঠিক না। আম্মু আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি চাননি পত্রিকায়-টিভিতে এসব নিয়ে আলোচনা বা সংবাদ প্রকাশ হোক।’
বাবা-মার সম্পর্ক প্রসঙ্গে এ তারকাপুত্র জানিয়েছেন, ‘সব ঠিক আছে। আমি আব্বুকেও পাচ্ছি, আম্মুকেও পাচ্ছি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অনেক বিষয় নিয়েই মনোমালিন্য হয়। আমি বিয়ে করেছি, আমাদেরও হয়। এটা তো স্বাভাবিক। আব্বু-আম্মু দুজনই চাচ্ছেন বিষয়টা যেন দ্রুত সমাধান হয়ে যায়।’
উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত গত ১০ জুন। ডিপজলের ছেলের বিবাহত্তোর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। সেখানে জায়েদ খানকে পেয়ে চড় মেরে বসেন ওমর সানী এবং সে সময় পিস্তল বের করে সানীকে গুলি করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। তবে পুরো ঘটনাটি মিথ্যে বলে দাবি করেছেন জায়েদ খান। ওমর সানী অবশ্য বলছেন ঘটনা সত্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।