Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে প্রথমবারের মত ‘ল্যান্ডিং ক্রাফট টাংক’ নির্মান করছে খুলনা শিপইয়ার্ড

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২২, ১০:১৭ এএম

বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ৩টি ‘ল্যান্ডিং ক্রাফট টাংক’এর নির্মান কাজের সূচনা হচ্ছে বুধবার খুলনা শিপইয়ার্ডে। দেশে প্রথমবারের মত এ ধরনের ল্যান্ডিং ক্রাফট ট্যাংক তৈরীর গৌরব অর্জন করতে যাচ্ছে খুলনা শিপইয়ার্ডই। ফলে দেশের নৌযান শিল্পে নতুন মাইল ফলক রচিত হবে বলে মনে করছেন নৌযান বিশেষজ্ঞগন। বাংলদেশ নৌ বাহিনীর খুলনা এরিয়া কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মোহম্মদ আনোয়ার হোসেন-এনজিপি, পিসিজিএম, এনডিসি, পিএসসি বুধবার দুপুরে খুলনা শিপইয়ার্ড প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানে ‘কিল লেয়িং’এর মাধ্যমে এসব সমর নৌযনের নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করছেন। খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এম শামসুল আজিজ-এনজিপি, পিএসসি-বিএন,এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির জিএমবৃন্দ ছাড়াও উর্ধতন সামরিক ও বেসমরিক কর্মকর্তাগন উপস্থিত থাকবেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইংল্যান্ডের ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি ‘লয়েডস রেজিস্ট্রার’এর নীতিমালা অনুসরন করে এসব সমর নৌযান তৈরী হচ্ছে বলে খুলনা শিপইয়ার্ডের দায়িত্বশীল মহল জানিয়েছেন।
প্রায় ৩২০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিতব্য এসব নৌযান আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমা ছাড়াও দেশের উপক’লীয় ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীসমুহে যেকোন পরিস্থিতিতে সমর সরঞ্জাম সহ দূর্যোগকালীন সময়ে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে ত্রান ও উদ্ধার কাজেও অংশ নেবে । ২৩০ ফুট দৈর্ঘের প্রতিটি সমর নৌযানে একই সাথে ৬টি করে মাঝারী মানের ট্যাংক বা ৫টি মাঝারী মানের আর্টিল্যারী গান ভেহিকেল অথবা ১২টি করে এপিসি/ ৮টি সামরিক ট্রাক পরিবহনে সক্ষম হবে। শান্তিকলীন সময়ে এসব সমর নৌযান ‘লজিস্টিক শিপ’এর ভ’মিকা পালনের পাশাপাশি উপক’লীয় এলাকায় মানবিক সহায়তা সহ ত্রান সামগ্রী ও উদ্ধার কর্মী পরিবহন করবে।
প্রায় ৩০ ফুট প্রস্থ নৌযানগুলেতে আমেরিকার ‘ক্যাটারপিলার’ ব্রান্ডের ২ হাজার ২৫০অশ^শক্তির ২টি করে মূল ইঞ্জিন ছাড়াও জার্মেনীর ‘জেডএফ’ ব্রান্ডের গিয়ার বক্স সংযোজন কর হবে। প্রতিটি নৌযানে ৩৪০ কেভিএ দুটি করে মূল জেনরেটর ছাড়াও ১৬৫ কেভিএ আরো ১টি করে স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর থাকবে।
এসব ল্যান্ডিং ক্রাফটের প্রাথমিক কাজ হবে যে কোন যুদ্ধকালীন সময়ে দেশের উপক’লীয় উভচর অভিযান পরিচালনায় যুদ্ধ ট্যাংক, এপিসি সহ সাপোর্ট ইউনিট ও ল্যান্ডিং ফোর্স পরিবহন করা। এসব নৌযানে ইতালীর তৈরী ২.৫টন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি করে ডেক ক্রেন, সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট,ওয়েলি ওয়াটার সেপারেটর ছাড়াও জাইরো কম্পাস, মাগনটিক কম্পাস, র‌্যাডার, ইকোÑসাউন্ডার, এআইএস, জিপিএস এবং সার্বক্ষনিক যোগাযোগের জন্য ভিএইচএফ সেট ছাড়াও লইফ সেভিং ও ফায়ার ফাইটিং সরঞ্জাম সংযোজন করা হবে। ঘন্টায় ১৫ নটিক্যাল মইল বেগে ছুটে চলতে সক্ষম এসব সমর নৌযান ৬০ জন নৌসেনা নিযুক্ত থাকবে বরে আশা করা যাচ্ছে।
রুগ্ন ও বিক্রী তালিকাভ’ক্ত খুলনা শিপইয়ার্ডকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর নৌ বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের পরে তার হ্রত গৌরব পুনরুদ্ধার করে এখন দেশের উন্নয়নের এক অনন্য অংশিদার। করোনা মহামারীর গত দুবছরের সংকটকালীন সময়েও প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা আয়কর ও ভ্যাট প্রদানের পরেও ১২৫ কোটি টাকা নীট মুনফা অর্জনে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে।



 

Show all comments
  • jack ali ১৪ জুন, ২০২২, ১০:৫৩ এএম says : 0
    কুরআনের শাসন থাকলে আমরা এ 50 বছরের মধ্যে আমাদের যত কিছু দরকার সবকিছু তৈরি করতে পারতাম কিন্তু সরকার আমাদের দেশটাকে পরনির্ভরশীল করে রেখেছে ইন্ডিয়া এবং চায়নার কাছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ