Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ : নাচোলে মানববন্ধন

নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

গফরগাঁও সরকারি কলেজে অনার্স এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ ফি কমানোকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মারধর ও অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নাচোল সরকারি কলেজ মোড়ে ১ ঘণ্টার কর্মবিরতি ও মানববন্ধন করেছেন।
এ ঘটনায় সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার এবং কর্মের সুষ্ঠ পরিবেশ তৈরির দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, অধ্যক্ষ প্রফেসর স ম আব্দুস সামাদ আজাদ, কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক জিল্লার রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শফিকুল আলম, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আজিজুল হক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সানাউল হক।
উল্লেখ্য, মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা গফরগাঁও কলেজে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, গত ৮ জুন দুপুরে শিক্ষকদের ওপর হামলার পর আন্দোলনকারীরা ৯ জুন বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
গফরগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কাজী ফারুক আহমেদ সরকারি বিধি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ এবং সেশন ফি বাবদ পাঁচ হাজার ৬০০ টাকা ধার্য করেন। এই টাকা রকেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দেয়ার কথা। কলেজের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছেন এবং ব্যাংকে তারা টাকাও জমা দিয়েছেন। তবে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী টাকা জমা দেয়নি।
৮ জুন ছাত্রলীগ কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মুরাদ হাসান ঝিনুকের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে এসে পরীক্ষা চলাকালে হলে প্রবেশ করে খাতাপত্র ছিনিয়ে নেয়। পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিতে চাপ দেয়। পরে তারা কলেজের শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায় এবং কলেজের শিক্ষক ড. ইমরান হোসেনকে মারধর করেন। এ সময় আহত হয় আরেক শিক্ষক ড. রেজোয়ান আহমেদ। এ ঘটনায় জরুরিসভা করে বিচারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষকরা।
এদিন কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী শিক্ষকদের কলেজ ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের সহায়তায় শিক্ষকরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় গফরগাঁও থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। এই ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ