Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদা জিয়াকে বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না

বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

সরকারের সলিম উদ্দিন-কলিম উদ্দিন বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কেন বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন না সেই প্রশ্ন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কেনো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটক রাখা হয়েছে, কেনো তাকে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না? যখন তাদের (সরকার) সলিম উদ্দিন-কলিম উদ্দিন সব বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করে, সাজাপ্রাপ্ত লোকেরা বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করে, কেউ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যায়। তখন বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় নেতা গণতন্ত্রের জন্য যিনি সারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাকে বিদেশে চিকিৎসা করতে দেয়া হয় না কেনো? খালেদা জিয়ার কোনো অঘটন ঘটলে পরিণতি কঠিন হবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলের অসুস্থ চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে প্রেরণ ও তার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। সমাবেশে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ব্যানার-ফেষ্টুন নিয়ে সমাবেশে আসে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আল্লাহ না করুক যদি কোনরকম অঘটন ঘটে তাহলে এদেশের মানুষ আপনাদেরকে (সরকার) ক্ষমা করবে না। টেনে হিঁচড়ে আপনাদেরকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেবে। সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের শেষ কথা অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান। অন্যত্থায় তার সমস্ত দায়-দায়িত্ব আপনাদেরকে নিতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া হচ্ছেন এই ফ্যাসিবাদী সরকারের, আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ভয়। দেশনেত্রী যদি বেরিয়ে আসেন, তিনি যদি রাস্তায় নামেন, মানুষকে ডাক দেন, সেই ডাকে ব্যাবিলনের সেই বংশীবাদকের মতো সব বেরিয়ে আসে রাস্তায়। সেজন্য তারা (সরকার) তাকে আটকিয়ে রেখেছে। মূল কারণ হচ্ছে তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া। এই ভয়াবহ দানবীয় ফ্যাসিস্ট সরকার এবং তার অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করেন, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে, দুদককে নিয়ন্ত্রণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে সাজা দিয়ে আটক করে রেখেছেন।

খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের চিকিৎসকদের অত্যন্ত সময়োচিত পদক্ষেপ এবং চিকিৎসার কারণে অতিদ্রুত স্টেন্টিং করে তার আজকে লাইফ সেইভ করা হয়েছে। এটাই তার শেষ না। তার অনেক অসুখ আছে। লিভার সিরোসিস আছে, আর্থ্রাইটিস আছে, হার্ট ডিজিস আছে, কিডনি ডিজিস। এর জন্য দরকার উন্নত চিকিতসা কেন্দ্র। সেটা আমাদের দেশে নেই। ডাক্তারা বলেছেন, তাকে উন্নত মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া দরকার যেটা বিদেশে আছে। আমরা বার বার সরকারকে অনুরোধ করেছি, আন্দোলন করেছি, কর্মসূচি দিয়েছে।

‘কারো কাছে আমি মাথানত করিনি’-প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য খণ্ডন করে মির্জা ফখরুল বলেন, এরশাদ সাহেব ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ যথন ক্ষমতা দখল তখন উনি (শেখ হাসিনা) বলেছিলেন, উই আর নট আনহ্যাপী, আমরা অখুশি নই। আবার ১/১১ যখন অবৈধ সেনা সমর্থিত সরকার হলো তখন আপনি এয়ারপোর্টে ঘোষণা দিয়েছিলেন এই অবৈধ সরকারের সব অবৈধ কাজকে বৈধ করে দেবেন। আমাদের ম্যামোরি এখনো সট হয়নি। আপনারা বরাবরই আতাঁত করে ক্ষমতায় এসেছেন, বরাবরই ওই শক্তির সঙ্গে আতাঁত করেছেন যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করে, যারা বরাবরই গণতন্ত্রকে ধবংস করে। বর্তমান সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে উল্লেখ করে আন্দোলনের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।

মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির মীর মোহাম্মদ নাসির, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, রুহুল কবির রিজভী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুল আলম নিরব, মীর নেওয়াজ আলী, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, মহানগর বিএনপির ইশরাক হোসেন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, তানভীর আহমেদ রবিন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, আরিফা সুলতানা রুমা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে মুনায়েম মুন্না, মামুন হাসান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মীর নেওয়াজ আলী, আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ, মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইদুল ইসলাম সাইদুল, মো. রাজীব আহমেদ, থানা বিএনপির হাজী মো. দেলোয়ার হোসেন দুলু, আরিফ মৃধা, বাবুল মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, ওয়ার্ড বিএনপির মো. শামীম, হাফেজ লিটন, জাকির হোসেন, শফিকুর রহমান মামুন, বশির আহম্মেদ, মীর আবু বক্কর সিদ্দীক মাকসুদ, মোশাররফ হোসেন রতন, মো. আফজাল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ স্বপন, মো. মনসুর রহমান, শাহরিয়ার দিল খায়ের শিপু, মো. মেজবাহ উদ্দিন মেজবা, মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, মো. সেলিম, মো. নজরুল ইসলাম, মো. আলমগীর হোসেন ভুট্টো, থানা যুবদলের মো. সোলায়মান দেওয়ান, মো. শাহজালাল সম্রাট, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের মো. ইকবাল মাহমুদ রিপন, কেএম ইয়াহিয়া সামী প্রমুখ। #



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ