Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বেনাপোল কাস্টমস চেকপোস্টকে দালাল ও লেবার মুক্ত করায় বিমান বন্দরের ন্যায় যাত্রী সেবার মানও বাড়িয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২২, ৩:৫৪ পিএম

দীর্ঘ ৫০ বছর পর বেনাপোল কাস্টমস চেকপোস্টকে দালাল ও লেবার মুক্ত করা হয়েছে। বিমান বন্দরের আদলে যাত্রী সেবার মানও বাড়িয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তরা। ইতিমধ্যে এই প্রথম যাত্রীদের ব্যাগেজ ক্যারি করার জন্য ১’শ ট্রলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে শতাধিক লেবার। আন্তজর্কাতিক কাস্টস ও ইমিগ্রেশনকে সম্পাূর্ন দালালমুক্ত করেছেন সদ্য যোগদানকারী কাস্টমস’র যুগ্ন কমিশনার আ: রশিদ মিয়া।
বেনাপোল কাস্টমস ডেপুট্ িকমিশনারে মো: আব্দুল কাইউম ও ডেপুটি কমিশনার অনুপম চাকমা জানান, কাস্টমস কমিশনার মো: আজিজুর রহমানের নির্দেশে কঠোর প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আমার কাস্টমস চেকপোস্টকে দালালমুক্ত করেছি। সেই সাথে ১০০ জন লেবারকে উচ্ছেদ করা হয়। স্বাধীনতার পর কাস্টমস এর কোন কর্মকর্তারা কাস্টমস চেকপোস্ট কে বহিরাগত দালাল ও লেবার মুক্ত করতে পারেনি। কিন্ত বর্তমান কমিশনার মো: আজিজুর রহমান ও যুগ্ন কমিশনার আ: রশিদ মিয়া ঝুকি নিয়ে সাহসিকতার সাথে বহিরাগত দালাল ও লেবার উচ্ছেদ সপলভাবে সম্পন্ন করেছেন।

ভারত যাতায়তকারী পাসপোর্ট যাত্রী ছাড়া কোন ব্যাক্তিকে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন টার্মিনালে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনকে দালালমুক্ত করতে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালেই বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক স্ক্যানিং মেশিন ও সিসি ক্যামেরা। সশস্ত্র আনসার দিয়ে জোরদার করা হয়েছে যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের প্রধান ফটকে বন্দরের নিরাপত্তা কর্মী, আনসার সদস্য ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সার্বক্ষনিক নজরদারিতে পাসপোর্ট দালাল ও লেবার প্রবেশ করতে পারছে না। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের সেবার মান বৃদ্ধি করায় যাত্রীরা দ্রুত ও সুশৃঙ্খলভাবে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করছেন নিজেরাই। সারাদেশ থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা খুবই খুশী এ ধরনের পারিবেশ সৃস্টি করায়।

আজ রবিবার (১২ জুন) ভারত ফেরত যাত্রী পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সুমন হাওলাদার জানান, বেনাপোল চেকপোষ্টে এসে কাস্টমস এর সেবার মান মনে হচ্ছে বিমান বন্দরের মত। লেবার ও দালালদের লাগেজ টানা হেচড়ার কোন ঝামেলা নেই। ট্রলিতে করে খুব সহজেই মালামাল বহন করতে পারছি আমরা। বর্তমানে কাস্টমস চেকপোস্টের পরিবেশ খুবই ভালো। আমরা এ ধরনের পরিবেশ চাই। এ ধরনের পরিবেশ যেন সব সময় থাকে। তাহলে যাত্রীরা যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন।

কাস্টমস সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল চেকপোস্টে এক শ্রেণীর লোক দূরদূরান্ত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। সিরিয়াল ছাড়া তাদের পাসপোর্ট দ্রুত করে দেয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল ঐ চক্রটি। পাসপোর্ট যাত্রীদের পক্ষ থেকে কাস্টমসে অভিযোগ করলে চেকপোস্ট কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনকে দালালমুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়।
অন্যদিকে ঢাকা-কোলকাতা বাস সার্ভিস চলাচল মুরু হওয়ায় সর্বচ্চ সেবা দিচ্ছেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তার দ্রুত কোন ঝামেলা ছাড়াই ভারতে গেছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি মোহাম্মাদ রাজু আহমেদ জানান, বর্তমানে প্রতিটি যাত্রীকে সিরিয়ালে দাঁড় করিয়ে তাদের পাসপোর্টের সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হচ্ছে। যাত্রীদের সেবার মান বাড়াতে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ইতোমধ্যে কাউন্টারের সংখ্যা বাড়নো হয়েছে। ক্যানসার, মুক্তিযোদ্ধাও বয়স্কদের দের জন্য পৃথক কাউন্টারে সেবা দেওয়া হচ্ছে।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশীদ মিয়া জানান, বর্তমানে আন্তর্জাতিক কাস্টমস চেকপোস্ট ও ইমিগ্রেশনকে দালাল ও লেবারমুক্ত করা হয়েছে। তবে যাত্রীদের সেবার মান বাড়াতে সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বর্তমানে কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া নিরাপদে যাত্রীরা ট্রলি ব্যবহার করে ভারতে আসা যাওয়া করছেন।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো: আজিজুর রহমান জানান, বেনাপোল আন্তর্জাতিক কাস্টমস চেকপোস্ট দিয়ে পট্রতিদিনি ১০ হাজহার যাত্রী যাতায়াত করনছেন । প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ যাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। করোনা সংক্রমন কমে আসায় যাত্রী যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১৮ দিনে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াত করেছে ১ লাখ ৪১ হাজার ২১০ জন পাসপোর্টযাত্রী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ