Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীতাকুণ্ডে বি.এম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় লাইফ সাপোর্ট থাকা ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু

সীতাকু- (চট্টগ্রাম)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২২, ৩:০১ পিএম | আপডেট : ৪:১২ পিএম, ১২ জুন, ২০২২

সীতাকুণ্ডে বি.এম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় লাইফ সাপোর্টে থাকা আরো এক ফায়ার সার্ভিস ফাইটারের মৃত্যু হয়েছে।তাঁর নাম গাউসুল আজম(২২)।বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস.এম আইউব হোসেন। এ নিয়ে সীতাকু- বিস্ফোরণে মৃত্যু সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪৭।রবিবার ভোরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাঁর মৃত্যু হয়। বার্ন ইনস্টিটিউটের সার্জন ডা.এস.এম আইউব হোসেন জানান,ফায়ার সার্ভিসের দসদ্য ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজমের পুরো শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশই দগ্ধ হয়েছিল। তার সাথে শ্বাসনালীও পুড়ে গেছে। হেলিকপ্টারে করে ঘটনার পরদিন চট্টগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের ২জনসহ মোট ৭ জনকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওই দিনই তাকে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয় । সীতাকু- কুমিরা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন তিনি। সেদিন আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমেই তারা ছুটে যায় আগুন নেভাতে। সেখানেই বিস্ফোরণে দগ্ধ হন গাউসুল আজম। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মুত্যুর তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এদিকে সীতাকু- কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশান সূত্রে জানা যায় গাউসুল আজম অনেক ভাল একজন ফায়ার ফাইটার ছিলেন।কোথাও অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে সে সবার আগেই প্রস্তুত হয়ে যেত।ঠিক একই ভাবে সোনাইছড়ি বিএম কন্টিইনার ডিপোতে অগ্নিকা-ের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় নিয়ন্ত্রক কক্ষের এক কর্মকর্তা মোঃ কফিল উদ্দিন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ডিপোর অগ্নিকা-ের ঘটনায় সীতাকু-ের ফায়ার সার্ভিসের গাউসুল আজম ও রবিন মিয়াকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছিল।তাদের মধ্যে সীতাকু- কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজম ভোরে মৃত্যু বরণ করেছে ।২০১৮ সালে ফায়ার সার্ভিসে চাকুরিতে যোগদান করে সে। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদরের ১৩ নং লাপসা ইউনিয়নে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ