বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালের হিজলা উপজেলায় ১৫ বছর আগে মৃত আলী হোসেন সরদারের বিরুদ্ধে ধানকাটার মামলায় তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে পুলিশ । অভিযুক্ত আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত চার্জশীটের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আর সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করতে যেয়ে এসব তথ্য বেরিয়ে আসেছে। এখন ওই মৃত ব্যক্তির নাম চার্জশীট থেকে বাদ দেয়ার জন্য আবেদন করেছে হিজলার হরিনাথপুর তদন্ত কেন্দ্রের ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মিজানুর রহমান। প্রকৃতপক্ষে মামলার আসামীদের বাড়িতে না যেয়ে বাদী ও স্বাক্ষীদের কথিত মতে চার্জশীট দেয়ায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
হিজলা উপজেলার আবুপুর গ্রামের আবদুল লতিফ খান বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০২২ সনের ১৬ জানুয়ারি একটি মামলা দায়ের করে উল্লেখ করেন, ১০ জন আসামী ২০২১ সনের ১২ ডিসেম্বর তার জমির ধান কেটে নিয়েছে। আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য হিজলা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। হিজলা থানা থেকে অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য হরিনাথপুর পুলিশী তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. মিজানুর রহমানের নিকট পাঠানো হলে তিনি সরজমিনে কোন তদন্ত না করেই মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের বর্ণনানুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনটি থানা হয়ে পুলিশ সুপারের সুপারিশের ভিত্তিতে আদালতে পাঠানো হয়। কিন্তু অভিযুক্তরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত থেকে সব আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করা হয়। গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুযায়ী আসামীদের গ্রেফতার করতে যেয়ে মো. মিজানুর রহমান জানতে পারেন অন্যতম আসামী আলী হোসেন সরদার ২০০৭ সনে মারা গেছেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদি জানান, তিনি জমি থেকে ১০ মাইল দূরে বসবাস করেন। স্থানীয় স্বাক্ষীদের কথিত মতে তিনি মৃত ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছিলেন। এসআই মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে যেয়ে তদন্ত না করার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও মামলার স্বাক্ষীদের বর্ণিত মতে তিনি চার্জশীট দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।