পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহানবী (সা.) ও তার সহধর্মিনীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে আগামী ১৬ জুন ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও ও স্মারকলিপি পেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিবেন দলের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে আজ বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে বিশাল মিছিল পূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ভারত দেশটি থেকে মুসলমান উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। সুর্দীঘ সাড়ে ৭শ’ বছর মুসলমানরা ভারত শাসন করেছে। এই দীর্ঘ শাসনামলে মুসলমানরা কোনো হিন্দুর ওপর জুলুম নির্যাতন করেনি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সভাপতি প্রিন্সিপাল ফজলে বারী মাসউদ। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, মাওলানা আলহাজ আমিনুল ইসলাম মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ূম, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা নেছার উদ্দিন, আলহাজ মো. শাহাদাত হোসেন ও মো. শহিদুল ইসলাম রিয়াদ। পরে নগরীতে বিশাল মিছিল বের করা হয়। এছাড়া মহানবী (সা.) ও তার সহধর্মিনীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এবং ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতাদের একের পর এক ইসলাম ও মানবতার মুক্তির দূত মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর পরিবার নিয়ে কটুক্তি সারা বিশ্বের মুসলমানদের চরমভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হলেও এখানে সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের লোকেরা বরাবরের মতো নিরাপদ ও সপ্রতির মধ্যে বসবাস করে যাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ ভারতের মোদি সরকারকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ভারত থেকে মুসলিম উৎখাতের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। নবীর শানে যারা বেয়াদবি করেছে তাদেরকে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় ভারত খান খান হয়ে যাবে। তারা বর্তমান সরকারের নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করার জোর দাবি জানান। একই দাবিতে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মো.রুহুল আমিনের নেতৃত্বে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইট থেকে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বাদ জুমা নগরীর মহাখালী গুলশান হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) খানকাহ কার্যালয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল বের করা হয়। হাফেজ মাওলানা ইব্রাহিম বিন আলীর সভাপতিত্বে মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের আমির মাওলানা আবু জাফর কাসেমী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।