Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৃহৎ বাজেটের বোঝা জনগণের ওপর চাপিয়ে সরকার কৃতিত্ব নিতে চায় : বাসদ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২২, ১০:০৬ পিএম

বাজেট সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর দলটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান। তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মহা আড়ম্বরের বৃহৎ বাজেটের বোঝা জনগণের ওপর চাপিয়ে সরকার কৃতিত্ব নিতে চায়।

ফিরোজ বলেন, ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার এই বাজেট আয়তনে অনেক বড়। কিন্তু শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর কৃষির জন্য আনুপাতিক বরাদ্দ বাড়েনি। শিক্ষায় গত বাজেটের ১১.৬৯ শতাংশ ছিল এবার তা ১১.৬৫ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ ০.০৪ শতাংশ কমেছে। করোনায় বিপর্যস্ত শিক্ষা খাত ও শিক্ষার্থীদের জন্য বাজেটে কোনো নির্দেশনা নেই। দুর্বল ও দুর্নীতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য খাতও গুরুত্ব পায়নি।

বাজেট সংশোধনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এত আলোচনা-সমালোচনার পরও স্বাস্থ্যে বরাদ্দ ৫.৪ শতাংশের বেশি হয়নি। করোনার সময় দেশকে টিকিয়ে রাখার স্বীকৃতি দিলেও বাজেট বরাদ্দে কৃষিও গুরুত্ব পায়নি। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নতুন কোনো নির্দেশনা নেই। সাধারণ মানুষের কর যোগ্য আয় সীমা বাড়েনি। বরং বৃহৎ পুঁজিপতিদের কর্পোরেট ট্যাক্স আড়াই শতাংশ কমেছে। এসি রেস্তোরাঁর ভ্যাট ৫ শতাংশ কমিয়ে এসি, নন-এসি রেস্তোরাঁর ট্যাক্স সমান করা হয়েছে। সাধারণত দরিদ্র মানুষেরাই নন-এসি রোস্তোরাঁয় খেয়ে থাকেন। তিনি বলেন, এই বাজেটে টাকা পাচারকে স্বীকার করে নিয়ে তাকে আইনি বৈধতা দেওয়া হয়েছে। কেউ ৭.৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে পাচার করা টাকা ফেরত আনতে পারবে। এর ফলে টাকা পাচার তো কমবেই না বরং পাচারে আরও উৎসাহিত হবে।

দ্রব্যমূল্যের চাপে পিষ্ট দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের জীবনে বাজেট আরও আঘাত নামিয়ে আনবে জানিয়ে বাসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবারের বাজেটও ঋণ নির্ভর এবং ঋণের সুদ পরিশোধেই বাজেটের বড় একটা অংশ ব্যয় হবে। এছাড়া সামাজিক সুরক্ষা খাতেও বরাদ্দ তেমন বাড়েনি। বরং বরাদ্দ বেশি দেখাতে সরকার স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, সঞ্চয়পত্রের সুদ, সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরকালীন পেনশনের টাকা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতাকেও এ খাতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা চাতুরী ছাড়া আর কিছু না। বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে যার আয় যত বেশি তার কর তত বেশি এই নীতি গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ