সীতাকুণ্ডে ভাটিয়ারী তুলাতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এলপিজি সিলিন্ডার কাটা চক্রের মূল হোতাসহ পুরো দলকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তুলাতলী সাগর উপকূলে একটি সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব। এতে বক্তব্য রাখেন র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এম এ ইউসুফ পিএসসি।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের তুলাতলী সাগর উপকূলে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ পন্থায় এলপিজি সিলিন্ডার সংগ্রহ করে তা বেআইনিভাবে কেটে বিভিন্ন রি-রোলিং মিলে বিক্রি করছিল একটি বিশাল চক্র। এতে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা ছিল। বিএম ডিপোর ঘটনার পর থেকে র‌্যাব একাধিক সূত্রে এ তথ্য পেয়ে তদন্ত শুরু করে এলপিজি কাটার চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করে এবং গত দুই দিন বিভিন্ন স্থানে টানা অভিযান চালিয়ে তুলাতলীর মো. ইসমাইল হোসেন কুসুম, মো. মহসিন, মো. নুরুন নবীসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছে থাকা কুসুমের ডিপো, ফকিরা মসজিদের উত্তর পাশে, কবির স্টিলের পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের দক্ষিণ পাশে এবং আশেপাশের এলাকা থেকে মোট ১০ হাজার সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজারটি ছিল কাটা অবস্থায়। এছাড়া এসব সিলিন্ডার ব্যবহারের কাজে থাকা ২টি ট্রাকও উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব অধিনায়ক আরো জানান, গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে কোম্পানি এলপিজি সিলিন্ডারগুলো কম দামে বিক্রি করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে একটি সিলিন্ডারের দাম ২৮০০ টাকা। এলপিজির বিধান অনুযায়ী এলপিজির আকার পরিবর্তন করা যায় না। পরিবর্তন করতে হলে মেয়াদ শেষে বিষ্ফোরক পরিদফতরের সদস্যদের উপস্থিতিতে এগুলো ধ্বংস করার কথা। কিন্তু আইনের তোয়াক্কা না করে চোরাইভাবে এলপিজি সংগ্রহ করে সেগুলো কেটে বিভিন্ন রি-রোলিং মিলে বিক্রি করছিল চক্রটি। কুসুম এর আগেও ২০২১ সালের ১২ জুলাই একবার সিলিন্ডার কাটার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল। আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তারা।