বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, হুজুরে পাক (স:) ও তার পরিবার নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন পার্টি বিজেপির মুখপাত্র যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে; তাতে মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, এর মধ্যদিয়ে ভারতের পতনকে ত্বরান্বিত করেছে বলে আমি মনে করি। এটি গাজওয়াতুল হিন্দের পূর্বাভাস মনে হচ্ছে। রাসুলের হাদীস মতে- গাজওয়াতুল হিন্দ শুরু হলে ভারত মহাদেশে হিন্দুত্ববাদী শক্তির পতন অনিবার্য এবং অচিরেই ভারত মুসলমানদের দখলে আসবে।
তিনি আরো বলেন, হিন্দুত্ববাদী মুদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে সারা ভারত জুড়ে একের পর এক ইসলামের উপর আঘাত করেই চলছে। মুসলমানদের রক্ত নিয়ে খেলছে। কাস্মীরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তাতে আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, ভারতে হিন্দুদের ক্ষমতা বেশী দিন স্থায়ী হবে না। পৃথিবীর ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রের মুসলামানরা জেগে উঠলে ভারতে কট্টরপন্থী হিন্দুরা আর থাকতে পারবে না।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বলেন, সারা পৃথিবীর মুসলিম রাষ্ট্র সমূহ ভারতে মহানবী (সা:) ও তাঁর স্ত্রী নিয়ে কটুক্তির ব্যাপারে প্রতিবাদ জানালেও মুদির ভয়ে আপনি প্রতিবাদ করছেন না। আমি তো হাসিনাকে পাক্কা মুসলমান মনে করেছিলাম; এখন তো বুঝতে পারছি না- তিনি মুসলমান কিনা? না হয় ওনি প্রতিবাদ করতে ভয় পান কেন? যদি মুসলমান হন; তবে মুদিসহ হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। হিন্দুদের সাথে আপনার বন্ধুত্ব হলে আপনিও জাহান্নামে চলে যেতে হবে। তাদের পতন হলে আপনিও বাংলাদেশে থাকতে পারবেন না।
তিনি বৃহস্পতিবার (৯/৬/২০২২) বিকেলে ফটিকছড়িস্থ নাজিরহাট ঝংকার মোড়ে ভারতে রাসুল (স.) এর শানে বেয়াদবী ও তার পরিবার নিয়ে কটূক্তি এবং অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে হেফাজত আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
হেফাজতের নায়েবে আমির ও নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা মুফতি হাবিবুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মুফতি আবু মাকনূন মুহাম্মদ বাবুনগরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আল্লামা আইয়ুব বাবুনগরী, আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জাফর, ছাহেবজাদা আল্লামা এমদাদুল্লাহ নানুপুরী, আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, আল্লামা মাহমুদ শাহ নদভী, মুফতি রহিমুল্লাহ শাহনগরী, মুফতি মুহাম্মদ খালেদ, মুফতি মঈন উদ্দীন বাবুনগরী, মাওলানা শহিদুল্লাহ ধর্মপুরী, মুফতি আব্দুল হাকিম, মাওলানা জুনাইদ ইমামনগরী, মুফতি নেজাম ও মাওলানা আবু জাফর প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে ঝংকার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল মেডিক্যাল রাস্তার মাতা হয়ে নাজিরহাট বাজার প্রদক্ষিণ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।