বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য বর্তমান পরিস্থিতিকে প্রাধান্য দিয়ে একটি ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প বান্ধব বাজেট মহান জাতীয় সংসদে পেশ করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আ হ ম মুস্তফা কামাল, এমপি ও বর্তমান সরকারকে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এটি দেশের ৫১তম, আওয়ামীলীগ সরকারের ২২তম এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তৃতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট। মহামারীর এই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়নে ‘‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’’ শীর্ষক এই বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা প্রতিফলিত হবে বলে চেম্বার নেতৃবৃন্দ আশাবাদী। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের মোট আকার ০৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭.৫% শতাংশ ধরা হয়েছে যা বর্তমান সরকারের জীবনমান পরিবর্তনমুখী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। আগামী বাজেটে সবার জন্য পেনশন সুবিধা রাখা হয়েছে, যা সরকারের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। সেই সাথে উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে উৎপাদকের কাঁচামাল সরবরাহের উপর উৎসে কর ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়াও ব্যবসায়ীক পণ্য সরবরাহের উপর উৎসে করহার ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল ব্যতীত অন্য সব ধরনের রিপোর্টিংয়ের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি স্টার্ট-আপ কোম্পানির লোকসান ৯ বছর পর্যন্ত সমন্বয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে ব্যয় সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার ও টার্নওভার কর দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ১০ শতাংশ করা হয়েছে। মূসক বা টার্নওভার কর (৯.১) কর দাখিল পত্র পেশ না করার ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমান ১০ হাজার টাকা হতে হ্রাস করে ৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। করদাতাগণের অনিচ্ছাকৃত ভুলের ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ না করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এসি ও নন এসি রেঁস্তোরার উপর মূসক হার যথাক্রমে ১০ শতাংশ ও ৫ শতাংশের পরিবর্তে উভয় ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থ আইনে কর্পোরেট কর হার ৩০ শতাংশ থেকে ২৭.৫ শতাংশ হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদেশ থেকে প্রেরিত রেমিটেন্স এর বিপরীতে প্রণোদনার হার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করায় দেশে রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়বে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রস্তুতি গ্রহণ, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ, প্রতিরক্ষণ ও বাণিজ্য সহজীকরণের মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী ও ভারী শিল্পের বিকাশের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান, মেড ইন বাংলাদেশ স্লোগান অব্যাহত রাখা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে এক হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সাথে কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, যোগাযোগ ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে এই বাজেট দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে বলে সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দ মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।