Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে এক নারী গ্রেফতার : প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মামলার বাদী

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২২, ১২:৪৯ পিএম

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ এক মাদ্রাসা শিক্ষককে হয়রানির উদ্দেশ্যে ধর্ষণ মামলা করেন এক নারী। মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মামলা থেকে অব্যাহতি দেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষককে। মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ এনামুল হক বিএসসি ১৭ধারায় হয়রানির প্রতিকার দাবি করে মামলা দায়ের করেন করলে বৃহস্পতিবার সকালে আসামি তানিয়া আক্তারকে গ্রেফতার করে বরগুনা থানা পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার পর তানিয়ার স্বজনরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয়ায়
প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ১৭ ধারায় মামলা করার বাদী মাদ্রাসা শিক্ষক মো: এনামুল হক বিএসসি।

ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলাধীন বুড়িরচর ইউনিয়নের চরকগাছিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের পুত্র মো এনামুল হক আসামি তানিয়ার পিতা, দাদা, দাদী ও চাচার জমি কবলা সুত্রে ভোগ দখল করেন। কিন্তু তানিয়ার পিতা সোনা মিয়া ক্রয়কৃত জমি সঠিকভাবে বুঝ করে না দিলে এনামুল হক বিএসসির পিতা বরগুনা ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ১০/২০০৯ বন্টন মোকদ্দমা দায়ের করেন। ২০১২ সালে উক্ত মামলায় বাদীর রায় প্রদান করলে সেখান থেকেই ঘটনার সুত্রপাত ঘটে। ২০১৪ সালে তানিয়ার দায়েরকৃত মামলার ১নং আসামি মোঃ বেল্লাল হোসেনের পিতা মোঃ আতাহারের লুট মামলা ১০/২০১৫ এবং জমি জমার পুর্বশত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মোঃ বেল্লাল হোসেন পিতা মোঃ আতাহার, মোঃ মামুন পিতা মোঃ কুদ্দুস হাং, মোঃ বাচ্ছু মিয়া পিতা মোঃ মোসলেম হাং, মোঃ এনায়েত হোসন, মোঃ নিজাম হাং পিতা মৃত হামেজ হাং এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। (যার নম্বর ৪০/২০১৫ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩)।) ঐমামলায় আদালত এজাহার গ্রহণপুর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। বরগুনার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াজ হোসেন পিপিএম স্পর্শকাতর মামলা হিসেবে আমলে নিয়ে মামলা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বাদীর বিরুদ্ধে ১৭ধারায় মামলা করার পরর্মশ প্রদান করেন। বাদী তানিয়া মামলাটি পুনরায় নারাজি করলে আদালত ১নং আসামি মোঃ বেল্লাল ২নং আসামি মোঃ মামুনকে চার্জভুক্ত করে অন্যদের মামলা হতে অব্যহতি প্রদান করেন। ২০১৭ সালে আদালত বেল্লাল হোসেন ও মামুনকে মামলা থেকে নারি ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল অব্যহতি প্রদান করেন। এ দিকে ১৭ধারায় মামার বাদী মোঃ এনামুল হক বিএসসিকে তানিয়ার স্বজনরা প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ এনামুল হক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ