বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নোয়াখালীর প্রধান ডাকঘরের ৫৪টি ইলেকট্রনিক্স মানি অর্ডার (ইএমও) ম্যাসেজ জালিয়াতির মাধ্যমে ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ডাক বিভাগের তিন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড করেছে দুদকের স্পেশাল জজ আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে এ রায় প্রদান করেন স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান।
দÐপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, নোয়াখালীর প্রধান ডাকঘরের কাউন্টার অপারেটর রীনা রানী মজুমদার, সহকারি পোস্ট মাস্টার মো. মুনির চৌধুরী শহিদ ও ডিপিএমজি কার্যালয়ের পোস্টাল অপারেটর আনোয়ার হোসেন। দুদক জেলা কার্যালয়ের তথ্যমতে, দÐপ্রাপ্ত ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মরত অবস্থায় ২০১৩ সালের ১৩ জুন থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে যোগসাজসের মাধ্যমে ৫৪টি ইলেকট্রনিক্স মানি অর্ডার (ইএমও) ম্যাসেজ জালিয়াতির মাধ্যমে ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৩ অক্টোবর সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন পোস্ট মাস্টার এস এম সহিদ উল্যাহ। পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য থানা থেকে দুদক প্রধান কার্যালয়ের তৎকালিন উপ-পরিচালক নাছির উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে এ কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
জেলা দুদকের পিপি আবুল কাশেম বলেন, আসামি রীনা রানী মজুমদার ও আনোয়ার হোসেনকে বিভিন্ন ধারায় ১৩ বছরের সশ্রম কারাদÐ ও ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদÐ এবং মুনির চৌধুরী শহিদকে ১৩ বছরের সশ্রম কারাদÐ ও ২ লাখ ১০ হাজার টাকা অর্থদÐ করা হয়েছে। অপর দুই আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। পিপি আরও জানান, পলাতক আসামিরা যেদিন আত্মসমর্পণ করবে বা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হবে সেদিন থেকে তাদের সাজা কার্যকর হবে। এছাড়াও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।