Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বৈমানিক হওয়ার চুড়ান্ত পরীক্ষার আগে বাবা-মায়ের দোয়া নিতে উড়জাহাজ নিয়ে বরিশাল বিমান ব্ন্দরে ত্বকি তাহমিদ খান

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২২, ৫:০০ পিএম

বৈমানিক হওয়ার চুড়ান্ত পরীক্ষার মধ্যে দোয়া নিতে প্রশিক্ষন উড়জাহাজ নিয়ে বরিশালে বাবা-মায়ের কাছে ছুটে এলেন ত্বকি তাহমিদ খান। বৈমানিক হওয়ার মিশনের চুড়ান্ত পরীক্ষায় একাই প্রশিক্ষন বিমান নিয়ে বুধবার বরিশাল বিমান বন্দরের মাটি স্পষ করেন বরিশালেরই সন্তান ত্বকি তাহমিদ খান। বিমান বন্দরে নেমে বাবা-মা’র পা ছুয়ে কদমবুচি করে দোয়া নিয়ে আবার উড়জাহাজ নিয়ে ফিরে গেছেন ঢাকায়।

ত্বকি তাহমিদ খান বরিশালের বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা হাইস্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল তাহমিনা আক্তার ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের বরিশাল অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক সাইনুর আজম খানের ছোট ছেলে। মা তাহমিনা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, তার ছোট ছেলে রাজধানীর উত্তরায় বেসরকারী একটি এভিয়েশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-এর ছাত্র। সেখানে বৈমানিক হওয়ায় ‘পিপিএল’ পরীক্ষার চুড়ান্ত পর্ব ছিলো বুধবার। এ জন্য সে চট্টগ্রাম বিমান বন্দর থেকে প্রশিক্ষন বিমান নিয়ে বরিশাল বিমান বন্দরে অবতরন করে । বরিশাল থেকে পুনরায় উড়জাহাজ নিয়ে ঢাকা বিমান বন্দরে অবতরন করে কর্তৃপক্ষের কাছে চুড়ান্ত রিপোট করেছে ।
বরিশাল বিমান বন্দরে ১০ মিনিট অবস্থানের কথা জানিয়ে তাদের আসতে বলেন। তারা আসার পর বেলা ১১ টায় বরিশাল বিমান বন্দরে অবতরন করেন ত্বাকি তাহমিদ। প্রশিক্ষন বিমান থেকে নেমে তাকে ও বাবাকে কদমবুচি করে কিছু সময় কাটিয়ে নিরাপদে ঢাকায় ফিরে গেছে তাহমিদ।
বরিশাল বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের জানান, একটি প্রশিক্ষন বিমান অবতরন করেছিল, পরে গন্তব্যে ফিরে গেছে। এর বেশি কোন তথ্য দেয়া যাবে না বলে তার সভাব সুলভ ভঙ্গিতে জানান তিনি।
তবে বিমান বন্দরের একাধীক সুত্র জানায়, বেসরকারী ‘ঘাসফড়িং’ নামে একটি প্রশিক্ষন বিমান বরিশাল বিমান বন্দরে অবতরন করে কিছু সময় অবস্থানের পরে ঢাকায় ফিরে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী প্রভাষক আমিনুর রহমান শামীম জানান, তাহমিদ যখন প্রশিক্ষন বিমান নিয়ে বরিশাল বিমান বন্দরে আকাশে পৌছান, তখন বেসরকারী অপর একটি বানিজ্যিক উড়জাহাজে যাত্রী উঠছিল। তাই তাহমিদ তার জাহাজ নিয়ে বিমান বন্দরের উপরে বেশ কয়েকটি চক্কর দিয়ে কর্তৃপক্ষের ক্লিয়ারেন্স নিয়ে অবতরন করে।
বাবা-মায়ের কাছ থেকে দোয়া নিয়ে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে অফিসিয়াল কাজ শেষ করে ২০ মিনিট পর চলে গেছে তাহমিদ। কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়ে আকাশে চক্কর দেয়ার সময় তাহমিদের পিতাকে যথেষ্ঠ দুঃশ্চিন্তার সাথে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। আর মায়ের চোখের পানি কপোল গড়িয়ে পরছিল। তবে কিছুক্ষনে মধ্যে তাহমিদ যখন বীরের বেশে উড়জাহাজ নিয়ে বরিশঅল বিমান বন্দরের এপ্রোনে এসে দাড়ায়, তখন মায়ের চোখের সে পানি আনন্দ আর গর্বের রূপ নেয়। ৮-৬-২০২২.



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ