সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। এ সময় তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের ওপরও হামলা হয়। এতে জোনায়েদ সাকিসহ সাতজন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে দিয়ে একদল যুবক এ হামলা চালিয়েছে। হামলায় জোনায়েদ সাকির নাক দিয়ে রক্ত ঝরেছে। তিনি বাঁ হাতে আঘাত পেয়েছেন।

আহত অন্যরা হলেন, গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি ও সদস্য সচিব ফরহাদ জামান, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম কুমার শীল, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও জসীম উদ্দিন এবং সদস্য কামরুন নাহার ডলি। আহতরা সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সম্প্রতি বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে সাত দল ও সংগঠনকে নিয়ে ‘গণতন্ত্র মোর্চা’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের দেখে বিকেল পৌনে ৬টার দিকে চমেক হাসপাতাল থেকে বের হন জোনায়েদ সাকিসহ অন্যরা। তারা যখন গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলেন সে সময় সাত-আটজনের একটি দল জোনায়েদ সাকিসহ অন্যদের ওপর হামলা চালায়।

গণসংহতি আন্দোলনের সম্বন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা গাড়িতে উঠতেই তারা গাড়িতে হামলা করলো। আমি গাড়িতে ছিলাম। ইট দিয়ে হামলা করেছে। তারা গাড়ি থেকে নামিয়ে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের ২০ জন আহত হয়েছেন। আমাদের সাতটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এসময় হামলার শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, হামলার সময় সেখানে পুলিশ থাকলেও দুইজন পুলিশ সদস্য এগিয়ে এসে রক্ষা করেছে। অন্যদের তেমন ভূমিকা ছিলো না।