Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোটালীপাড়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ : স্বামী বলছে আত্মহত্যা

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জমি দলিল করে দিতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে স্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এটা আত্মহত্যা না হত্যা, এনিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তবে নিহতের বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ আত্মহত্যার ঘটনা নিছক গুজব, এটা পরিস্কার হত্যা। কারণ আত্মহত্যা করলে নিহতের গলায় ফাঁস লাগানো রশি থাকতো, কিন্তু তার গলায় কোন রশি ছিল না এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জনিয়েছেন নিহতের ভাই বিদুৎ বিশ্বাস। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের শিমুল বাড়ি গ্রামে। পুলিশ রাতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের ভাই বিদুৎ বিশ্বাস সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন আনুমানিক ১০ থেকে ১২ বছর আগে নিঃসন্তান আমার বোন মিনু বিশ্বাসকে শিমুল বাড়ি গ্রামের হরমোহন বাড়ৈর ছেলে মনিন্দ্র বিশ্বাস হিন্দু ধর্মীয় মতে বিয়ে করে এবং আমার বোন মিনু বিশ্বাসের নামে ৯ কাঠা জমি দলিল করে দেয়। কিছুদিন আগে সেই বাড়ি ৯ কাঠা আমার বোন জামাই মনিন্দ্র বাড়ৈ বিক্রি করো দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলো, আমার বোন জমি বিক্রি করতে রাজি না হলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনমালিন্য চলিতেছিলো। গত সোমবার দিন বিকেলে খবর পাই যে আমার বোন গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এসে দেখি যে আমার বোনের লাশ একটা খাটের ওপর রাখা হয়েছে এবং তারা পুলিশকে খবর না দিয়ে নিজেরাই নাকি সেই রশিটা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে। আমার ধারণা সম্পত্তির লোভে আমার বোন জামাই মনিন্দ্র বাড়ৈ এবং তার পরিবারের লোকজন মিলে আমার বোন মিনু বিশ্বাস (৫০) কে স্বাস রোধে হত্যা করে ঘরের পেছনের বারান্দার আড়ার সাথে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেছে। অভিযোগের বিষয়ে মিনু বিশ্বাসের স্বামী মনিন্দ্র বাড়ৈ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, গত সোমবার মিনুর রান্না শেষ হলে ১১টার দিকে দু’জনেই সকালের খাবার খাই। খাবার খেয়ে আমি ঘরের দক্ষিন পাশের বারান্দার পুর্ব পাশের চৌকিতে শুয়ে পরি এসময় পাশের বাড়ির সুনিল বাড়ৈর স্ত্রী মিনুর সাথে কথা বলছিলো হঠাৎ করে বেলা একটার দিকে ঘরের উপরে আমপড়ার আওয়াজ শুনে আমার ঘুম ভেঙে যায়, জেগে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে খোজাখুজি করতে গিয়ে পেছনের বারান্দায় গিয়ে দেখতে পাই যে মিনু আড়ার সঙ্গে রসি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলছে।
গতকাল মঙ্গলবার ভাঙ্গারহাট নৌ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মো. ওমর শরিফ বলেন, রশি পুড়িয়ে ফেল্লেও নিহতের গলায় রশির দাগ রয়েছে, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে সবকিছু জানা যাবে। কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান জানান নিহতের লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ